ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো পেসার এখন করোনা যুদ্ধের নায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ২৯ মার্চ ২০২০

খেলাধুলায় বড় কিছু করে রাতারাতি নায়ক বনে যাওয়ার নজির রয়েছে অনেক। তবে একইসঙ্গে খেলাধুলার বাইরে কিছু করে জাতীয় জীবনে নায়ক হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়।

এই কঠিন কাজটিই গত ১৩ বছর ধরে করে দেখাচ্ছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জোগিন্দর শর্মা। যিনি বর্তমানে লড়ে যাচ্ছেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায়।

২০০৭ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে জোগিন্দরের হাত ধরেই শিরোপা জিতেছিল ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে, দলকে এনে দিয়েছিলেন ৫ রানের জয় এবং বিশ্বকাপের শিরোপা।

সেই জোগিন্দর এখন কর্মরত আছেন হরিয়ানা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে। সাধারণ মানুষকে মহামারী করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন রাত-দিন। এছাড়া দিচ্ছেন যেকোনো জরুরি সেবা।

ভারতীয় পেসারের এমন মহৎ কাজে বাহবা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জোগিন্দরকে অভিহিত করেছে বাস্তব জীবনের নায়ক হিসেবে।

জোগিন্দরের খেলোয়াড়ি জীবন এবং পরবর্তী হিসেবে পুলিশ ক্যারিয়ারের ছবি আপলোড করে আইসিসির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক, ২০২০ সালে বাস্তব জীবনের নায়ক। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে পুলিশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকটের মুহূর্তে লড়ে যাচ্ছেন ভারতের জোগিন্দর শর্মা।’

আইসিসির এ টুইটের পর অল্পসময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যান জোগিন্দর। ভারতের চলমান ২১ দিনের লকডাউনে কাজ করার জন্য হিসার অঞ্চলে পোস্টিং দেয়া হয়েছে তাকে।

সেখানে নিজের সচেতনতামূলক কিছু কাজের ছবি আপলোড করে জোগিন্দর টুইটারে লিখেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসের একমাত্র ওষুধ হচ্ছে প্রতিরোধ। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মহামারী পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দয়া করে আমাদের কাজে সহযোগিতা করুন।’

এছাড়া ভারতীয় সংবাদ সংস্থায় জোগিন্দর বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করছি। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভয় থাকে বলে, পুলিশ অফিসারের কাজের মধ্যে একধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গত কয়েক বছরে এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেই কাজ করেছি আমি।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।