সবাই যদি বাড়িতে বসে থাকি, মানুষগুলো খাবার পাবে কোথায় : আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

করোনার প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্বই একপ্রকার লকডাউন। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। উন্নত দেশে তো তবু খাবারের ঘাটতি হচ্ছে না, ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ খাবারের অভাবেই মরার অবস্থা।

সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই সময়টায় একেবারে সবাই যদি ঘরে বসে থাকেন, তবে অসহায় মানুষগুলো খাবার পাবে কোথায়? পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি মনে করছেন, এখন তার ঘরে বসে থাকার সময় নয়।

আফ্রিদি অবশ্য এমনিতেই সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। তার ‘শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সেবামূলক সংগঠন আছে। এবার করোনার এই সংকটে সব ফেলে এখন সেটিতেই বেশি সময় দিচ্ছেন।

বর্তমানে খাইবার পাখতুনখাতে নিজের গ্রাম টাঙ্গি বান্ধায় দাতব্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আফ্রিদি। নিজের সংগঠনের কাজ তো করছেনই, তার প্রয়াত বাবার স্মরণে তৈরি ‘শাহীবজাদা ফজল রহমান চ্যারিটি হসপিটালে’ও সাহায্য করছেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার।

আফ্রিদি জানালেন, এখন তার মূল লক্ষ্যই হলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের চেষ্টা করা। যাতে সামনের দিনগুলোতে তারা খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারেন।

আফ্রিদি বলেন, ‘আমার জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া। লকডাউনের কারণে দিনমজুর মানুষগুলো কাজ করতে পারছে না। আমাদের দেশটা তো উন্নত দেশ নয়।’

যোগ করেন, ‘আমি বাড়িতে বসে থাকতে পারি না। যদি সবাই বাড়িতে বসে থাকে, তবে যাদের খাবার দরকার তাদের কি হবে? আমরা গত ১২-১৩ দিনে ৪,৫০০ পরিবারের কাছে যেতে পেরেছি।’

আফ্রিদির দলের বিলি করা খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে চাল, আটা, ডাল, চিনি আর তেল। মূলত পাকিস্তানের করাচিতেই তারা কাজ করছেন। তবে এখন তার আশপাশেও চেষ্টা করছে দলটি। আফ্রিদি বলেন, ‘আমি আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলেও যাচ্ছি। যেখানে শহরে কাজ করা মানুষগুলো ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছে।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।