করোনায় দেউলিয়া হতে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড!
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই বিশাল আর্থিক ধ্বস নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি স্মরণাতীতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সবার আগে বড় ধাক্কাটা পেতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (সিএ)।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেট খেলা বন্ধ থাকায় মাত্র এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পুরো বোর্ডের আর্থিক কাঠামো বলতে গেলে ধ্বসে পড়েছে। অবস্থা এতটাই খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, এমন পরিস্থিতি আর দুই মাস চলতে থাকলে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডকে।
করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে লকডাউনে ভেঙে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কর্মীদের বেতন দিতেও হাত দিতে হচ্ছে স্থায়ী সঞ্চয়ে। এ কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএ। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটিতে সিএ’র ৮০ শতাংশ কর্মী। এই সময়টাতে মাত্র ২০ শতাংশ বেতন পাবেন তারা। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সঞ্চিত অর্থের মধ্য থেকে ১২৬.৫ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে ব্যাংকে। গত অক্টোবরেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ এজিএমে দেখানো হয় তাদের সঞ্চিত অর্থের রিজার্ভ মাত্র ১৫.৪ মিলিয়ন ডলার। সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৫৬.৯ মিলিয়ন ডলারের ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। ভারতের বিসিসিআই এবং ইংল্যান্ডের ইসিবির পরই আর্থিক স্বচ্ছলতার দিক থেকে নাম আসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার; কিন্তু, লাগাতার লকডাউনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক সিরিজ বাতিল হয়েছে।
এছাড়া এ বছরই দেশটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। বিশ্বকাপের অবকাঠামো সংস্কারের জন্য বহু টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ লকডাউনের জেরে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। ফলে বিশাল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। যার কারণে চাপে পড়ে যায় অসি বোর্ড। এ বছরই যেহেতু বিশ্বকাপ, তাই সঞ্চিত অর্থও খরচ করতে নারাজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সুতরাং, কোপ পড়েছে ৮০ শতাংশ কর্মীর উপর।
নিজেদের আর্থিক অবস্থা যে জরাজীর্ণ তা দু’দিন আগেই স্বীকার করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিবৃতি দিয়ে তারা বলে, ‘লকডাউনের ফলে অন্যসব খেলার চেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হবে ক্রিকেট। আমরা সাবধানে এবং সক্রিয়ভাবে এই সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টা করছি। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অনুমতি নিয়ে খুব শীঘ্রই কাজে ফিরব।’
আইএইচএস/