ঈদের পর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ শুরুর আবেদন করবে কোয়াব

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০৯ মে ২০২০

করোনা এখনো জেঁকে বসে আছে। ভয়াবহ ও কঠিন এই ভাইরাস সংক্রমণ কমার কোনোই লক্ষ্মণ নেই। জীবনযাত্রা পুরোপুরি স্থবির। বিশ্বে প্রায় সব দেশেই নাগরিক জীবন থেমে আছে। সব কিছুই বন্ধ। তবে এর মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউরোপে ফুটবল লিগ শুরু হচ্ছে। জার্মানিতে মধ্য মে থেকেই শুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা। স্পেনে বার্সার প্র্যাকটিসে বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি যোগ দিয়েছেন। ফুটবলারদের অনুশীলন শুরু হয়েছে ইতালিতেও।

সেই পথে হেঁটে ক্রিকেট শুরুর আহ্বান জানিযেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ‘কোয়াব’। ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা প্রিমিয়র লিগ শুরুর আবেদন জানিয়েছে কোয়াব।

কোয়াবের সদস্য সচিব দেবব্রত পাল আজ পড়ন্ত বিকেলে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আজ শনিবার বিকেলে কোয়াবের অনলাইন মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আমরা ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ চালুর আবেদন করবো।’ কোয়াবের প্যাডে আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক- ব্যবস্থাপক সিসিডিএমকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেবব্রত পাল।

আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লিগ খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করছি।

আজ শনিবার অনলাইন বৈঠকে কোয়াব সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বোর্ড পরিচালক আকরাম খান, সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, সিনিয়র ক্রিকেটার তুষার ইমরান, জহুরুল ইসলাম অমি, এনাম জুনিয়র, নুরুল হাসান সোহান প্রমুখ অংশ নেন।

কোয়াবের বৈঠকে করোনার সময় ক্ষতিগ্রস্ত অস্বচ্ছল ক্রিকেটার, আম্পায়ার, স্কোরার, মাঠকর্মীসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সাময়িক অর্থকষ্টে থাকাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি ৫০০ থেকে ৭০০ পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সাময়িকভাবে অর্থকষ্টে পড়া ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব)। সংগঠনটির সদস্য সচিবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা এই করোনার সময় যে তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাতে ইতিমধ্যে ১৮ লাখ টাকার (১৮ লাখ ৭ হাজার ১৯১ টাকা ৯৫ পয়সা) ওপরে জমা পড়েছে। যার প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার জোগান দিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও বিশ্ব বিজয়ী যুব দলের ক্রিকেটাররা।

আগেই জানা, প্রথম শ্রেণির ৯০ প্লাস ক্রিকেটার তাদের মাসিক বেতনের অর্থেক বেতন তুলে জমা দিয়েছেন কোয়াবের কাছে। আর আকবর আলীর বাহিনী ও টিম ম্যানেজমেন্ট মিলে তুলে দিয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার, সংগঠকরা মিলে আরও প্রায় ৮ লাখ টাকা তুলেছেন।

খুব শিগগিরই সেই অর্থ সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, কোচ, সংগঠক, আম্পায়ার, স্কোরার ও মাঠকর্মীদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোয়াব সদস্য সচিব।

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।