করোনায় বাড়িতে বসে নতুন কি শিখছেন গেইল? ক্রিকেটার না হলে কি হতেন?
করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে ক্রিকেট নেই। অনুশীলনও প্রায় বন্ধ। এ কারণে ক্রিকেটারদের অখণ্ড অবসর। শুধু ক্রিকেট কেন, প্রায় সব খেলাই লকডাউনে বন্দী। সম্প্রতি ইউরোপে ফুটবল ফিরেছে মাঠে। এছাড়া অন্য খেলাগুলো ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে, লকডাউনে ঘরে বসে থেকে নতুন নতুন জিনিস শেখার দিকে ঝুঁকে পড়েন ক্রীড়াবীদরা। কেউ শিখেছেন রান্না-বান্না, কেউ শিখেছেন নতুন কোনো ভাষা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল কি শিখছেন? শুনলে অবাক হবে, তিনি শিখছেন ডিজে। ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কি তাহলে নতুন জগতে (শো-বিজ) পা বাড়াবেন ক্যারিবীয় এই তারকা?
গেইল নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি গান খুব ভালোবাসেন। এ কারণেই নিজের বাড়িতে তিনি ডিজে সিস্টেম তৈরি করে নিয়েছেন এবং করোনা লকডাউনের কারণে ঘরে বসে থেকে আর কি করবেন, ডিজে স্কিলটাকে বাড়িয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আইপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ‘ওপেন নেটস উইথ মায়াঙ্ক’- অনুষ্ঠানে গেইল বলেন, ‘আমি গান খুব পছন্দ করি এবং পছন্দ করি মানুষের আবেগ-অনুভূতিকে। বাড়িতেই আমি এখন ডিজেইং শিখছি। বাড়িতেই আমার নিজের ডিজে সিস্টেম রয়েছে। সুতরাং, নিয়মিতই আমি প্র্যাকটিস করি।’
এই অনুষ্ঠানকিট সঞ্চালনা করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ার এবং তার সঙ্গে রয়েছেন ভারতের আরেক ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল।
সঙ্গীতের জগতে এমনিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশাল ইতিহাস রয়েছে। অনেক জগতবিখ্যাত শিল্পীর জন্ম দিয়েছে দ্বীপপুঞ্জটি। যেমন বব মারলি, রিয়ান্না, নিকি মিনাজ রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
গেইল জানান, সঙ্গীত হচ্ছে একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতিই যেন ঘরে ফিরে এসেছে। আমরা সঙ্গীতের সঙ্গেই বেড়ে উঠি। এটা সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগায় এবং এ কারণে সবাই গান শোনে। সারা বিশ্বে সঙ্গীতই শক্তিশালী একটি মাধ্যম।’
শো চলাকালে গেইল জানিয়ে দেন, তিনি যদি ক্রিকেটার না হতেন, তাহলে হতেন একজন স্প্রিন্টার (দৌড়বিদ)। মায়াঙ্ক বলেন, ‘একবার গেইল আমাকে বলেছিলেন, উসাইন বোল্ট এক নম্বর, কারণ আমি ক্রিকেট খেলি। না হলে, আমিই হতাম (স্প্রিন্টে) সেরা।’
প্রসঙ্গতঃ উসাইন বোল্টের সঙ্গে গেইলের দারুণ বন্ধুত্ব রয়েছে
আইএইচএস/