‘মুশফিক ভাইকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আছে’

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই শক্তিশালী ঢাকার মুখোমুখি হচ্ছে রাজশাহী। বেক্সিমকো ঢাকা বনাম মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি।
উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজিত দুটি দলই। অভিজ্ঞ মুশফিকের বিপরীতে টস করতে নামবেন তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মজার বিষয় হলো, কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ওয়ানডে ফরম্যাটে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে শান্তর নেতৃত্বে খেলেছিলেন মুশফিক। সেই মুশফিকের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচে টস করতে নামবেন নাজমুল শান্ত।
স্বাভাবিকভাবেই উদ্বোধনী ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর প্রধান প্রতিপক্ষই থাকবে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক। যদিও তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ভয় পাচ্ছেন না কিছুতেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের সক্ষমতা আছে মুশফিকুর রহীমের উইকেট দ্রুত নেয়ার।
এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটা ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ হয়েছিল। অনেক কিছুই জানা আছে। আশা করছি যে, যদি আমাদের বোলাররা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারে, তাহলে অবশ্যই মুশফিক ভাইকে তাড়াতাড়ি আউট করার মতো সক্ষমতা রাখে।’
সাকিব আল হাসানকে নেয়ার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিল রাজশাহী। পরিবর্তে তারা প্রথম ডাকেই নিয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে। অথচ, সেই সাইফউদ্দিনকেই টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে পাচ্ছে না তারা ইনজুরির কারণে। এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই সাইফউদ্দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল আমাদের; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়তো বা প্রথম ছয়-সাতদিন আমরা পাচ্ছি না। এরপর আরেকটা রিপোর্ট (স্ক্যান) পাবো। কিন্তু এটা নিয়ে আসলে খুব বেশি চিন্তা করার সুযোগ নাই। যেহেতু কালকে (মঙ্গলবার) ম্যাচ। যেই দলই হবে, সেটা নিয়ে আপনার কনফিডেন্ট।’
নিজেদের কম্বিনেশনের কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে ফিল্ডিংয়ের কথা। শান্ত বলেন, ‘আগে এই জিনিসটা নিয়ে অনেক চিন্তা করতাম আমরা সবাই। এখন সবাই সবার জায়গা থেকে ভালোভাবে প্রস্তুত। আমার কাছে মনে হয় সবাই ব্যক্তিগতভাবে নিজের ফিল্ডিং অনুশীলন নিয়মিত করে। আমার মনে হয় না খুব বেশি ইফেক্ট হবে। যেটা বললাম, তরুণ ক্রিকেটারও অনেক আছে। চারদিকে চিন্তা করলে কম্বিনেশন ভালো। মনে হয় না ফিল্ডিং সমস্যা হবে।’
তরুণ বয়সেই নেতৃত্বে। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন শান্ত? তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে ইভেন নরমাল একটা প্লেয়ারের দায়িত্ব রেগুলার পারফর্ম করা। অধিনায়কত্ব একটা আলাদা অংশ, ওটা যতটুকু দায়িত্ব পালন করার করবো। পাশাপাশি আমার রেগুলার কাজ হচ্ছে রান করা। ওই জায়গায়টায় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নজর দিচ্ছি কিভাবে ভালো রান করা যায়।’
এআরবি/আইএইচএস/পিআর