ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনামের ভাবনা

প্রেসিডেন্টস কাপ শেষ হয়েছে ভলোয় ভালোয়। ক্রিকেটার-কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে চলছে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসরও। এখন ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে একটাই প্রশ্ন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কি হবে? ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট কি এ বছর আর হবে?
অবশ্য এ প্রশ্ন সেই এপ্রিল থেকেই এর ওর মনে উঁকি দিচ্ছে। এ বছর আদৌ প্রিমিয়ার লিগ হবে কি না? প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বিসিবি ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সর্বশেষ ভাবনা কি?
প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক ও ব্যবস্থাপক সংগঠন সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম জাগো নিউজসহ অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে বারবারই জানিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে বোর্ডের সদিচ্ছার কথা। আজ (শনিবার) সে কথা নতুন করে বললেন সিসিডিএম প্রধান।
জানিয়ে দিলেন, সিসিডিএম ও বিসিবি মনেপ্রাণে চায় প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে। তাই তো কাজী ইনামের মুখে এমন কথা, ‘গত কয়েক দিন বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে কথা হয়েছে। চিন্তাটা হচ্ছে আমরা অবশ্যই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটা করতে চাই। ’
সিসিডিএম প্রধানের ভাষায়, প্রিমিয়ার লিগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট। তবে ইচ্ছা থাকলেও প্রিমিয়ার লিগ আসলে কীভাবে করা যায়, সে চিন্তাই ভোগাচ্ছে তাদের।
আজ শনিবার বিকেলে শেরেবাংলায় প্রচার মাধ্যমের সাথে আলাপে কাজী ইনাম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টস কাপ আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি আসরে প্যান প্যাসিফিক হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফদের রেখে আসর আয়োজন সম্ভব হলেও ১২ ক্লাবের ক্রিকেটারদের একসাথে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন খুব কঠিন। তার ভাষায়, ‘তিন দল বা পাঁচ দলের বায়ো বাবল বেশ সহজ। কিন্তু ১২ দলের জন্য অনেক কঠিন।’
তিনি যোগ করেন, ‘সব মানুষই কিন্তু খুবই সচেতন। তারা মাস্ক ব্যবহার করছে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে। ক্লাবগুলোও যদি সেই দায়িত্ব নেয়, আমরা যদি একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে বায়ো-বাবলের মতো সুরক্ষিত হবে। আমি এর বেশি আজ কিছু বলতে পারব না। আমাদের আলোচনা হবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুধু খেলোয়াড়দের কাছেই নয়, সিসিডিএম এবং বোর্ডের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রিমিয়ার লিগ কীভাবে আয়োজন করা সম্ভব? কাজী ইনাম জানান, তাদের হাতে কিছু বিকল্প আছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকটা অপশন আছে। একটা হলো ঢাকার বাইরে করা। এটা নিয়ে আমরা আগেও আলাপ করেছি। আমরা এখনও দেখছি যে, কি করা যায়। যদি আমরা ঢাকার ভেতরে করি এখন, একই সময়ে আলাদা আলাদা হোটেল ব্যবহার করতে হতে পারে। এটা একটা বিষয়, আমরা আলাপ করেছি।’
সিসিডিএম প্রধান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাজারে আসার দিকেও তাকিয়ে। তার ভাষায়, ‘আমরা দেখছি বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের সরকারও বলছে, একটি ভ্যাকসিন দ্রুত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সব খেলোয়াড়কে ভ্যাক্সিনেট করে এবং তাদের সাথে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে ভ্যাক্সিনেট করে খেলাটাকে পরিচালনা করতে পারি কি না।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম