টেস্টেই বেশি কার্যকর হাসান মাহমুদ!

ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল বোলিংয়ের পুরষ্কার হিসেবেই টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে ২০২০ সালের মার্চ মাসে শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লাল সবুজ জার্সি পরে প্রথম মাঠে নামা।
সেখানে আহামরি কিছু (৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য)। করতে না পারলেও ঘরের মাঠে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হাসান মাহমুদের শুরুটা ভালই হয়েছে।
২০ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের আগমন বার্তা দিয়েছেন লক্ষীপুরের দ্রুত গতির বোলার হাসান মাহমুদ। পরের ম্যাচে অবশ্য সেই ধারা অব্যাহত থাকেনি। ১ উইকেট পেতে দিয়ে ফেলেছেন ৫৪ রান।
তারপরও অতিবড় সমালোচকও মানছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের ওয়ানডে অভিষেকটা দারুণ হলো। লক্ষীপুরের ২১ বছরে এ যুবা নিজে কী ভাবছেন?
ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু নিয়ে হাসান মাহমুদের মূল্যায়ন হচ্ছে, ‘যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, যদিও অভিষেক ম্যাচটা ম্যাটার করে, তারপরও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে, ভালো শুরু হয়েছে। (দ্বিতীয় ম্যাচেও) চেষ্টা করেছি প্রথম ম্যাচের মতই পারফর্ম করার; কিন্তু হয়নি, অসুবিধা নাই, ইনশাআল্লাহ নেক্সট টাইম হবে।’
অনেক ফাস্টবোলারেরই অ্যাকশন জটিল। ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু হাসান মাহমুদের অ্যাকশন খুবই মসৃন। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় ‘স্মুথ অ্যাকশন’। নিজের এ মসৃন অ্যাকশন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একবারের জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করেননি হাসান মাহমুদ, ‘এটা আসলে গড গিফটেড। আমি আমার মতই বল করি (হাসি)।’
শুধু যে বোলিং অ্যাকশনটাই স্মুথ, তা নয়। হাসান মাহমুদের তার রানআপও খুব লম্বা নয়। ১৪-১৫ পা দৌড়ে বল করেন। রানআপ দেখে ও ডেলিভারি দেয়ার সময়ও বোঝা যায় না, বলের গড় পড়তা গতি ১৩৫ কিলোমিটারের ওপরে। সেই সাথে আছে সুইং করানোর ক্ষমতা এবং তার বল দুই দিকে ম্যুভ করে।
দুই দিকেই সুইং করানোর রহস্য কি জানতে চাওয়া হলে সেখানেও নিজের চেয়ে প্রকৃতিকেই ধন্যবাদ হাসান মাহমুদের। তবে তার অনুভব ওই দুই দিকে সুইংটা ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্টে অনেক বেশি কাজে দেবে। আর তাই মুখে এমন কথা, ‘এটা আসলে কারো কারো জন্য ন্যাচারাল আবার কেউ নিজেরা করে। এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো। ট্রাই করবো লাইন, লেংথ ঠিক রাখতে ছোট খাটো সুইং থাকবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দুর্বল দল না হয়ে যদি ভারত কিংবা ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে অভিষেক হত তাহলেও কি একই মানসিকতা রাখতেন? এমন প্রশ্ন করা হলে হাসান মাহমুদের জবাব অবশ্যই থাকতো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে অবশ্যই এরকম মানসিক শক্তি দরকার যে রকম লাগবে আরকি। তো অবশ্যই চেষ্টা থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক ঘরোয়া ক্রিকেট হক লাইন, লেংথের সাথে কম্প্রমাইজ করা যাবে না, প্লাস পেস। ওভারঅল চেষ্টা করবো।’
অনেক কোচের সাথেই কাজ করেছেন। কার বেশি ইমপ্যাক্ট পড়েছে আপনার বোলিংয়ে? ওটিস গিবসনের সাথে কেমন কাজ হচ্ছে? তার ধারনা সব পেস বোলিং কোচের থিমটা একই রকম হয়। সেটা ঘরোয়া কোচ বা বাইরের যে কোচই থাকুন না কেন, একই রকম হয়।
এখন টাইগারদের যিনি পেস বোলিং কোচ, সেই ওটিস গিবসন তাকে ভালো ভালো দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য হাসান মাহমুদের। ‘লাইন লেংথ, ইয়র্কার, স্লোয়ার এগুলো আরেকটু নিখুঁত করার জন্য উনারা যা বলতেছে তাই করতেছি।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম