যেমন ধারণা করেছিলাম, উইকেট তেমন ছিল না: তামিম

ওয়ান্ডারার্সের উইকেট আর কেমন হবে? চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায়- ব্যটারদের স্বর্গরাজ্য। রানের বন্যা বয়ে যায় এই মাঠের উইকেটে। অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার সেই অতিমানবীয় ম্যাচটা তো এই মাঠেই হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রানের ইনিংসটা টপকে ৪৩৮ রান করে জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা!
এই মাঠে আরও বড় বড় স্কোরের ঘটনা আছে। ৪৩৯ রানের একটি ইনিংসও গড়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০০ প্লাস স্কোরের তো অভাব নেই। সেখানে টস জিতে তো যে কোনো অধিনায়কই চাইবেন প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডটাকে হ্যান্ডসাম করে রাখতে। তামিম ইকবালও তাই টস জিতেই চোখ বন্ধ করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তটাই শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হলো। প্রোটিয়া বোলাররা ছড়ি ঘোরালেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি কিংবা ওয়েইন পারনেলদের বল ঠিকভাবে পড়তেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অতিরিক্ত বাউন্সের শিকার হয়ে বাংলাদের রান থমকে গেছে ১৯৪ রানে।
যার জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে, ৭৬ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের প্রশ্নে তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্বীকার করে নিলেন, ‘আমরা যেমনটা ধারণা করেছিলাম, উইকেট ঠিক তেমন ছিল না।’
তামিম ইকবাল সরাসরি জানিয়ে দেন, অস্বাভাবিক বাউন্স হওয়া কিংবা হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে আসলে কারোরই কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, ‘পেস এবং বাউন্স আমরা ভালোভাবেই সামলাতে চানি। কিন্তু হঠাৎ বাউন্স করা কিংবা লাফিয়ে ওঠা বলে তো সেটা সম্ভব না।’
টস নিয়ে তামিম বলেন, ‘টস জিতে বোলিং কিংবা ব্যাটিং নেয়ার বিষয়ে এখন হয়তো অনেক কিছুই লেখা হবে। অনেক মন্তব্য আসবে। আমরা এসব থামাতে পারবো না। মেনে নিচ্ছি যে, আমরাই ভুল করেছি। তারা দারুণ বোলিং করেছে। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা সেভাবে রান তুলতে পারিনি কিংবা তাদের বোলারদের আঘাত করতে পারিনি। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, ১০০ করাও বুঝি খুব কঠিন হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত করলাম ১৯৪।’
নিজেরা খারাপ খেলেছেন এটা মেনে নিয়ে তামিম বলেন, ‘দিন শেষে আমরা অনেক কিছুকেই দোষ দিতে পারি কিংবা অজুহাত খুঁজতে পারি। কিন্তু এটা ঠিক, আমরাই খারাপ খেলেছি। অনেক সময়ই অনেক কিছু আপনার চিন্তা অনুসারে এগুবে না, এটাই সত্য।’
আইএইচএস/