মিরপুরে হোম অব ক্রিকেট দর্শকের ঢল

বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে, অন্য যে কোনো সময় হলে সারা দেশে সাড়া পড়ে যেতো। পুরো জাতি মেতে থাকতো এই সিরিজটি নিয়ে। সর্বোচ্চ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতো বাংলাদেশ-ভারতের এই ম্যাচটি।
বাড়তি প্রাণ-চাঞ্চল্য আর উৎসাহ উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বিরাজ করতো চারদিকে। সব মিলিয়ে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হতো; কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। কারণ একটাই; কাতারে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ নিয়ে মেতে আছে গোটা বিশ্ব। ফুটবলজ্বরে কাঁপছে বাংলাদেশও।
সবার চোখ এখন কাতারের রাজধানী দোহায়। মেসির আর্জেন্টিনা, নেইমারের ব্রাজিল, রোনালদো পর্তুগাল, এমবাপের ফ্রান্সকে নিয়েই ব্যস্ত ক্রীড়া অনুরাগিরা। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ও ভারত ক্রিকেট ম্যাচ। তাই আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ নিয়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা আর প্রাণচাঞ্চল্য তুলনামূলক কম।
তারপরও ৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলায় প্রথম ওয়ানডের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু সকালে এবং খেলা শুরুর এক ঘণ্টা পরও বোঝা যায়নি যে স্টেডিয়াম ভরে উঠবে দর্শকে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল ও দুপুরে গ্যালারির অর্ধেক ছিল ফাঁকা; কিন্তু দুপুর পেরিয়ে বিকেল নামার আগেই প্রায় পরিপূর্ণ শেরে বাংলা। পূর্ব দিকের সাধারণ গ্যালারি, ক্লাব হাউজ, গ্র্যন্ডস্ট্যান্ডসহ হোম অব ক্রিকেটের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ আসন দর্শকে ভরে গেলো দুপুর ২টা বাজতে না বাজতেই।
মূলত সপ্তাহের প্রথম দিন, তারওপর রাত জেগে আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ দেখেছেন ক্রীড়া অনুরাগীরা। রাত ৩টা নাগাদ খেলা শেষ হওয়ার পর সকালে তাদের ঘুম ভাঙতেও তো সময় লাগে। সুতরাং, টিকিটধারীদের মিরপুরে আসতেও তো সময় লাগার কথা। হয়তো, সে কারণেই শেরে বাংলা দর্শকে পুর্ণ হতে সময় লেগেছে।
তবে, সময় গড়ানোর সাথে মিরপুর জমে উঠতে শুরু করে। দর্শকার আসতে থাকে মাঠে। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান এবং এবাদত হোসেনরা যখন ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরে, তখনই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের উদ্দেশ্যে দর্শকের ঢল নামে। বিকেল নাগাদ পূর্ণ হয়ে যায় শেরে বাংলার পুরো গ্যালারি।
এআরবি/আইএইচএস/