মাঠে ফিরে বড় ইনিংস খেলেও রাজশাহীকে জেতাতে পারলেন না শান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে গত অক্টোবর-নভেম্বরে চট্টগ্রামে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তারপর থেকে ইনজুরি তাকে ঠেলে দিয়েছিল মাঠের বাইরে। ইনজুরির কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টেস্ট, ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারেননি শান্ত।
অবশেষে ইনজুরি কাটিয়ে আজ ১৪ ডিসেম্বর মাঠে নামলেন তিন ফরম্যাটে জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুধু মাঠে নামাই নয়। প্রথম দিন ব্যাট হাতে খেলতে নেমে রানও করেছেন এ বাঁহাতি টপ অর্ডার।
শনিবার বিকেলে সিলেট একাডেমি মাঠে ন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে রাজশাহী বিভাগের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৮০ রানের এক দারুন ইনিংস খেলেছেন শান্ত। ৫৪ বলে ১৪৮.১৫ স্ট্রাইকরেটে ৪টি ছক্কা ও ৫টি বাউন্ডারিতে সাজানো ওই আক্রমনাত্মক ইনিংসটির সাথে আরও একটি দারুণ আকর্ষনীয় ইনিংস ছিল রাজশাহী ইনিংসে।
সেটা উপহার দিয়েছেন তরুণ ড্যাশিং ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। ঝড়ের বেগে ৩৩ বলে ৫ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করেন রাজশাহীর আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। শান্ত আর সোহানের উদ্বোধনী জুটি ৯.৫ ওভারে ৮৯ রান তুলে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৮৪ রানের বড়সড় পুঁজি গড়েও ম্যাচ জেতেনি রাজশাহী।
ফজলে মাহমুদ রাব্বি, আব্দুল মজিদ আর ইফতিখার হোসেন ইফতি হাত খুলে খেললে ৫ উইকেটের দারুন জয় পায় বরিশাল। ওয়ান ডাউন ফজলে মাহমুদ রাব্বি খেলেন ম্যাচের সবচেয়ে আক্রমনাত্মক ইনিংস। ১৬৪.৭১ স্ট্রাইকরেটে ৩৪ বলে সমান তিনটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বরিশালকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
এছাড়া ওপেনার মজিদও (৩৯ বলে ৫৩) হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান। অপর ওপেনার ইফতির ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রানের (২৪ বলে)। শেষ দিকে সালমান হোসেন ইমন (১২ বলে ২১) আর মঈন খান (৮ বলে ১৫ নটআউট) ছোট্ট অথচ কার্যকর ইনিংস খেললে তিনবল আগে জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এআরবি/আইএইচএস