ফুটবলার উন্নতি খাতুনের পরিবারের পাশে র্যাব-৬
উন্নতি খাতুনের কথা মনে আছে? এই তো গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে নিয়েছিলেন বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এরও তিন বছর আগে তিনি একই ভেন্যুতে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়েছিলেন বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ঝিনাইদহের শৈলকুপার গরীব কৃষক পরিবারের সন্তান উন্নতির দুর্দান্ত নৈপূণ্যেই এবার টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল খুলনা বিভাগ।
করোনাভাইরাসে সব কিছু বন্ধ হওয়ায় সেই উন্নতি খাতুনের পরিবার কষ্টে দিন অতিবাহিত করছিল। তার বাবা দাউদ শেখের কাজ বন্ধ। তাদের দেখার মতো কেউ নেই। উন্নতি খাতুনের পরিবারের অভাবের কথা জানতে পেরে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে র্যাব-৬ খুলনা। র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল রওশনুল ফিরোজের নির্দেশনায় উন্নতি খাতুনের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্যসামগ্রি।
খুলনা থেকে র্যাব-৬ এর মিডিয়া অফিসার মাহবুবুল আলম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, লে. কর্নেল রওশনুল ফিরোজের নির্দেশনায় ঝিনাইদহের র্যাব কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম রোববার বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহারো গ্রামে উন্নতি খাতুনের বাড়িতে যান। দেশসেরা ফুটবল কন্যা উন্নতির পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
র্যাবের সহায়তা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উন্নতি খাতুন বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের অভারের সংসার। তারওপর আবার করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকায় বাবা ঘরে বসা। এতে আমাদের সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। এমন সময় র্যাব-৬ আমার পরিবারের পাসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। আমি ও আমার পরিবার র্যাব-৬ এর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
কিশোরীদের ফুটবল টুর্নামেন্টে উন্নতি খাতুন আলো ছড়িয়েছেন ধারাবাহিকভাবেই। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের ফাইনালছাড়া বাকি সব ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাইতো এ কিশোরীর হাতেই উঠেছিল টুর্নামেন্টসেরা পুরস্কার।
শৈলকুপার আবু দাউদ এবং হামিদা খাতুন দম্পতির ৭ সন্তানের ষষ্ঠ উন্নতি। ভর্তি হয়েছেন বিকেএসপিতে। তবে এর আগেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলেও অভিষেক হয়েছে তার।
আরআই/আইএইচএস/