দেশে ফিরেও ছেলের কাছে যেতে পারছেন না জাপানি ফুটবলার কাতো
গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চার্টার্ড ফ্লাইটে যেসব জাপানি নাগরিক ঢাকা থেকে দেশে ফিরে গেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়া তিন ফুটবলারও।
তারা হলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার নারিতো হাশিগুচি, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মিডফিল্ডার ইউরি নাগাতা এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফরোয়ার্ড ইউসুকে কাতো।
এই তিন ফুটবলারের মধ্যে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফরোয়ার্ড ইসুকে কাতো দেশে ফিরে নিজের নতুন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জাগো নিউজকে।
জাপানের ওসাকা শহরে দুটি কাছাকাছি অ্যাপার্টমেন্ট কাতোদের। একটিতে থাকেন বাবা-মা, অন্যটিতে নিজে স্ত্রী-পুত্রসহ। করোনাকালে ঢাকায় বন্দী থাকায় একমাত্র পুত্র ইচির জন্য ছটফট করছিলেন কাতো। দেশে যাবেন, ছেলের মুখ দেখবেন- ঢাকা ছাড়ার এটাই ছিল কাতোর প্রধান কারণ।
কিন্তু দেশে গিয়েও পুত্রের মুখ দেখতে পারছেন না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই জাপানি ফরোয়ার্ড। ৩০ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে টোকিও। তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে সোজা চলে যান ওসাকা। প্রথম ওঠেন বাবা-মা’র অ্যাপার্টমেন্টে। আর ঘরে ঢুকেই পড়ে যান ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে। চারদিন পার হয়েছে। আরও ১০ দিন থাকে ঘরেই আটকা থাকতে হবে।
‘আরও ১০ দিন আমাকে অপেক্ষা করতে হবে ৫ বছরের ছেলেকে দেখতে। সবসময় কথা হয় ফোনে। কিন্তু এখনও কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের একমাত্র সন্তান ইচি। খুব মিস করছে আমাকে, আমিও তাকে অনেক মিস করছি। এই দুই সপ্তাহ যেন শেষ হওয়ার নয়’- ওসাকা থেকে বলছিলেন ইউসুকে কাতো।
স্ত্রী-পুত্রসহ একটা ছবি দেয়া যাবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন। আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করছি।’ একটু পর ছেলেসহ নিজের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার স্ত্রী তার মুখ মিডিয়ায় দিতে চায় না। হা হা হা।’
খুব কাছে থেকেও ছেলে-স্ত্রীকে মিস করছেন, বাংলাদেশকে কি মিস করছেন? ‘অবশ্যই। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো। আমি ওখানে ভালো ব্যবহার পেয়েছি। বেশ কিছু বন্ধুও হয়েছে আমার। আমি ভালো দিন পার করেছি ওখানে। তবে খেলা বন্ধ হওয়ার পর দেশে ফেরার জন্য মন খুব কাঁদছিল। বিশেষ করে পুত্র ইচির জন্য’- বলছিলেন কাতো।
আবার আসবেন ঢাকায়? এ জাপানি বলছেন সেটা নির্ভর করে লিগ শুরু হবে কি না তার ওপর, ‘আমার ইচ্ছে আছে। এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আবার কবে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে তার ওপর। আশা করি, দ্রুতই সব সমস্যা কেটে যাবে। বিশ্ব আবার আগের অবস্থানে ফিরবে,’
আরআই/এসএএস/এমএস