সতীর্থের করোনা নমুনা সংগ্রহে উঁকি, নিষিদ্ধ কালু
খানিক কৌতূহলবশত ও খানিক মজা করেই সতীর্থ খেলোয়াড়ের করোনা নমুনা সংগ্রহের সময় সামনে এগিয়ে গিয়েছিলেন হার্থা বার্লিনের তারকা খেলোয়াড় সলোমন কালু। সেটির আবার ভিডিও করছিলেন নিজের মোবাইল ফোনে।
এখানেই থেমে থাকেননি, নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করার মাধ্যমে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, সতীর্থ খেলোয়াড়দের দিকে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন কালু।
বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এসব কাজ সরাসরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে ক্লাব এবং স্বাস্থ্যসংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে। কিন্তু এ নিয়ম অমান্য করায় জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইভরি কোস্টের ফুটবলার কালুকে।
ধারণা করা হচ্ছে, কালুর ওপর নেমে আসতে পারে আরও বড় নিষেধাজ্ঞা খড়গ। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন কালু এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নিজ ক্লাব, লিগ ও স্বাস্থ্যসংস্থার কাছে।
কালুকে নিষিদ্ধ করার খবর জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে হার্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ড্রেসিংরুমের ভেতরে করা এ ভিডিওতে স্পষ্ট যে, ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নিয়মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেনি কালু। তার এমন আচরণ
বর্তমান পরিস্থতির সঙ্গে মোটেও উপযুক্ত নয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অনুশীলন ও খেলার সঙ্গে সংযুক্ত বিষয়গুলো থেকে সরিয়ে নিয়েছে।’
৩৪ বছর বয়সী এ ফুটবলারের এমন কাজে ক্ষেপেছে জার্মান ফুটবল লিগ কর্তৃপক্ষও। তারা লিখেছে, ‘হার্থার ড্রেসিংরুমের ভেতরে সলোমন কালুর এমন কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে রয়েছি। খেলোয়াড়দেরও উচিৎ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নেয়া।’
নিজ ক্লাব ও লিগ কর্তৃপক্ষের এমন প্রতিক্রিয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন কালু। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাজে যদি মনে হয়ে থাকে করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব দিচ্ছি না, তাহলে আমি দুঃখিত। তবে বাস্তবতা এর বিপরীত। আমি আফ্রিকার মানুষের খুবই চিন্তিত। সেখানে জার্মানির মতো এত ভালো স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেই। আমি অত কিছু ভাবিনি, নিজের টেস্টের ফল যে নেগেটিভ এসেছে তা জানাতে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। এসবের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’
এসএএস/পিআর