১২ দিনে শেষ হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসর
করোনাভাইরাসের কারণে হারিয়ে গেছে বড় একটা সময়। গত ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা। যা শুরু হয়নি এখনও। তবে পুনরায় চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর জন্য ম্যাচসংখ্যা কমিয়ে মিনি টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা করেছে উয়েফা।
স্থগিত হওয়ার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের চারটি ম্যাচ হয়ে গেছে। যেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই, লেইপজিগ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং আটলান্টা। বাকি চার ম্যাচ না হওয়ায় চূড়ান্ত হয়নি কোয়ার্টারের ৮ দল।
তবে এটি চূড়ান্ত না করেই 'শেষ আট'র মাধ্যমে ১২ দিনের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে উয়েফা। যেখানে থাকবে কোয়ার্টার ফাইনালের চার ম্যাচ, সেমিফাইনালের দুই ম্যাচ এবং ফাইনাল ম্যাচটি। আগামী ১২ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত, ১২ দিন সময়ে এই ম্যাচগুলো আয়োজনের ইচ্ছা উয়েফার।
সাধারণত চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল হয়ে থাকে দুই লেগের। তবে করোনার কারণে এ ম্যাচগুলো এবার এক লেগেই করতে চায় উয়েফা। শুধু তাই নয়, ফাইনালসহ সবগুলো ম্যাচ পর্তুগালের লিসবন শহরে করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
আগামী ১২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা চারদিনে হবে কোয়ার্টার ফাইনালের চার ম্যাচ, পরে ১৮ এবং ১৯ তারিখ হবে সেমিফাইনালের দুই ম্যাচ। আর সবশেষে ২৩ আগস্ট লিসবনের ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের।
এটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা নয়। প্রাথমিকভাবে সাজানো হয়েছে এই পরিকল্পনা। যা আজ (মঙ্গলবার) আরও ভালোভাবে যাচাই বাছাইয়ের পর জানানো হবে আনুষ্ঠানিকভাবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গেলে যে আগে শেষ ষোলর বাকি চার ম্যাচ হওয়া দরকার, সেগুলোর কী হবে?
জানা গেছে, শেষ ষোলোর এই চার ম্যাচ আগের নির্ধারিত ভেন্যুতেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে লড়বে বার্সেলোনা-নাপোলি, রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাস-লিওন এবং চেলসি-বায়ার্ন মিউনিখ।
১২ দিনের সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্টের সাত ম্যাচ (কোয়ার্টারের চার, সেমির দুই এবং ফাইনাল) আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে লিসবনের দুই বড় স্টেডিয়ামের কথা মাথায় রেখেছে উয়েফা। সেগুলো হলো বেনফিকার এস্তাদিও দ্য লুজ এবং স্পোর্টিং লিসবনের হোসে আলভালাদ স্টেডিয়াম।
এসএএস/জেআইএম