আকবর আলী-শামীম পাটোয়ারি ঝড়ে রিয়াদদের লড়াকু পুঁজি

বিসিএল ফাইনালে আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদি হাসান মিরাজের সাউথজোনের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নর্থ জোন। রোববার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ফাইনালে জিততে হলে মিরাজ বাহিনীকে করতে হবে ২৪৫ রান।
শুরুতে সাউথজোন বাঁহাতি পেসার শরিফুলের প্রচন্ড গতি ও সুইংয়ে খানিক কোনঠাসা হয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে ওই ধাক্কা সামলে ওঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। চার মিডল অর্ডার ফজলে মাহমুদ রাব্বি (৬৫), অধিনায়ক রিয়াদ (৩৯), আকবর আলী (৪৪) ও বাঁ-হাতি শামীম পাটোয়ারি (৩৭) শেষ পর্যন্ত নর্থ জোনকে ২৪০-এর (৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪) ঘরে পৌঁছে দেন।
দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শরিফুল বল হতে বারুদ ঝরালেন। এই বাঁ-হাতি পেসারের দ্রুত গতি, মাপা লাইন ও লেন্থ আর একটু-আধটু সুইংয়ে শুরুর দিকে বেসামাল মনে হলো নর্থজোনের দুই ওপেনার লিটন দাস আর সাহাদাত হোসেন দিপুকে।
শরিফুলের প্রথম স্পেল সামলে উঠতে পারলেন না তারা। দুজনই ফিরে গেলেন। অফ স্ট্যাম্পের আশপাশে বাঁ-হাতি কৌনিক ডেলিভারিতে লিটন ও দিপুকে অফ স্ট্যাম্প ও তার আশপাশে কয়েকবার পরাস্ত করলেও কিছু ডেলিভারি ভেতরেও ঢুকলো। আর তাতেই লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ালেন সাহাদাত হোসেন দিপু-৪ (৪) ও লিটন দাস।
শরিফুলের মিডল স্টাম্পে পিচ পড়া ডেলিভারিকে অনসাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়লেন দিপু। নিজেকে একদমই খুঁজে না পেয়ে ১১ বলে ১ রান করা লিটন দাস লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়লেন। শরিফুলের ফুললেন্থ ডেলিভারিকে অনসাইডে খেলতে গিয়ে।
নর্থ জোন টপ অর্ডারদের মধ্যে একটু স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন শুধু সৈকত আলী (৩০ বলে চার বাউন্ডারিতে ২২)। কিন্তু তিনি ফিরে গেলেন রান আউট হয়ে। ১২ ওভার (১১.৫) পুরো হওয়ার আগে ৪৫ রানে ৩ টপ অর্ডার সাহাদাত দিপু, লিটন দাস আর সৈকত আলী সাজঘরে ফেরার পর মনেই হয়নি নর্থ জোন লড়াকু স্কোর গড়তে পারে।
কিন্তু মিডল অর্ডারে বাঁ-হাতি ফজলে মাহমুদ রাব্বি (১১৪ বলে ৬৫) আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫৩ বলে ৩৯) অবস্থা বদলে দেন। চতুর্থ উইকেটে তারা দু’জন ৭৮ রান জুড়ে দিলে শুরুর আড়ষ্ঠতা ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠে নর্থ জোন। এরপর উইকেটরক্ষক আকবর আলী (৪১ বলে ৪৪, ২ ছক্কা) আর শামীম পাটোয়ারী (২০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৭) ইচ্ছেমত হাত খুলে খেলে স্কোর ২৪৪-এ নিয়ে যান।
বিসিবি সাউথজোনের সফল বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল (৩/৪৫)। এছাড়া ফজলে মাহমুদ ও আকবর আলীর উইকেট দুটি জমা পড়ে সাউথজোন অধিনায়ক মিরাজের (২/৩১) ঝুলিতে। আর পেসার জিয়াকে ডিপ মিডউইকেট আর ওয়াইড লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা হাকানো নর্থজোন ক্যাপ্টেন রিয়াদ ওয়েল সেট হয়ে নাসিরের (১/৪১) বলে বোল্ড হন স্কুপ করতে গিয়ে।
এআরবি/আইএইচএস