প্রথমার্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল

চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের দেখা পাওয়া গেলো অবশেষে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অসংখ্য আক্রমণ করেও ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোল পায়নি সেলেসাওরা। উল্টো ১ গোল হজম করে হারতে হয়েছিলো তাদের। কিন্তু নকআউটে এসে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে গুনে গুনে বল জড়াতে শুরু করেছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই চারবার বল জড়িয়েছে তারা এশিয়ার অন্যতম প্রতিনিধিদের জালে। গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, নেইমার, রিচার্লিসন এবং পাকুয়েতা।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এই ম্যাচে দলে ফিরেছেন নেইমার। তার ফেরাতে যেন দল পুরোপুরি উজ্জীবিত এবং ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই গোল বের করে নিয়েছে সেলেসাওরা। এরপর ১২, ২৯ এবং ৩৬তম মিনিটে আরও তিনবার দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল জড়িয়েছে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৭ম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে অসাধারণ এক আক্রমণ সাজান রাফিনহা। তিনি ডানপ্রান্ত বল ঠেলে দিলে সেটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেয়ে যান এবং সময় নিয়ে ডান পায়ের শট নেন তিনি। জড়িয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
১১তম মিনিটে বক্সের মধ্যে রিচার্লিসনকে ফাউল করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় জুং উ ইয়ং। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১২তম মিনিটে স্পট কিক নেন নেইমার। জড়িয়ে যায় কোরিয়ানদের জালে।
১৬ মিনিটে গোলের অসাধারণ এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। হাওয়াং হি চানের দুর্দান্ত শটটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় গোল থেকে ব্রাজিলকে বাঁচান গোলরক্ষক অ্যালিসন।
ক্যামেরুনের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৯টি চেষ্টার পরও গোল পায়নি ব্রাজিলিয়ানরা। আফ্রিকান দেশটির জাল একবারও খুঁজে পায়নি তারা। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই গোল পেতে শুরু করেছে সেলেসাওরা।
ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন, নেইমার এবং রাফিনহার সমন্বয়ে গড়া হয়েছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। ভয়ঙ্কর এই আক্রমণভাগকে রোখার সাধ্য দক্ষিণ কোরিয়ার নেই। যে কারণে সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই অসাধারণ গোলটি আদায় করে নেয় ব্রাজিল।
২৩ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের অসাধারণ এক শট ফিরিয়ে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক।
২৯তম মিনিটে অসাধারণ এক সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল। এবার গোলদাতা রিচার্লিসন।
নিজে বক্সের সামনে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দারুণ স্কিল দেখান। এরপর বল ঠেলে দেন মার্কুইনহোসের দিকে। তিনি বল দেন থিয়াগো সিলভার কাছে। সিলভা আলতো টোকায় বল ঠেলে দেন বক্সের ভেতরে। পেয়ে যান রিচার্লিসনই। সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আলতো টোকায় বলটি তিনি জড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
৩২তম মিনিটেই দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। এবারও হাওয়াং হায়ে চান শট নিয়েছিলেন ব্রাজিলের পোস্ট লক্ষ্যে। কিন্তু অ্যালিসন তৎপর ছিলেন সেখানে। বল তার হাতের মুঠোয় চলে যায়।
৩৬তম মিনিটেই একহালি ব্রাজিলের। এবার গোলদাতা লুকাস পাকুয়েতা। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এসে বামপ্রান্তে ভিনিসিয়ুসকে পাস দেন নেইমার। ভিনিসিয়ুস বলটি নিয়ন্ত্রনে নিয়েই আলতো টোকায় বল বক্সের মধ্যে ডানপ্রান্ত ফেলেন। লুকাস পাকুয়েতা এক শটেই সেই বলটি জাড়িয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার জালে।
৪৫ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান রিচার্লিসন। গোলরক্ষকই ছিল শুধু তার সামনে। রিচার্লিসনের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলটি পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তিনিও পারেননি বলটি কোরিয়ানদের জালে জড়াতে।
আইএইচএস