খুশির খবরটি প্রথমে মাকে জানিয়েছিলাম

আগামী ১৮ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত হবে ১৯তম ফিনা ওয়ার্ল্ড সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ থেকে দুই সাঁতারু অংশ নেবেন। অভিজ্ঞ সোনিয়া আক্তার টুস্পার সঙ্গী হবেন তরুণ সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি।
সামি আগে কখনো আন্তর্জাতিক সাঁতারে অংশ নেননি। আন্তর্জাতিক পুলে তার অভিষক হতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এত বড় প্রতিযোগিতা। এ নিয়ে কথা বলেছেন রাজবাড়ীর পাচুরিয়ার তরুণ এই সাঁতারু।
জাগো নিউজ: ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাবেন। আপনি মনোনীত হয়েছেন সেটা কখন জানতে পেরেছিলেন?
সামিউল রাফি: ঈদের ছুটির আগে জানতে পেরেছিলাম ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের দলে আছি।
জাগো নিউজ: কেমন লাগছিল খবরটি জেনে?
সামিউল রাফি: আসলে এই খবরটি ছিল আমার জন্য ঈদের বাড়তি আনন্দ। কারণ, কখনো ইন্টারন্যাশনাল খেলিনি। খেলতে যাচ্ছি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে। খবরটি জেনে অনেক খুশি হয়েছিলাম। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি।
জাগো নিউজ: খবরটি শোনার পর প্রথম কাকে জানিয়েছিলেন?
সামিউল রাফি: খবরটি আমার কানে পৌঁছানোর পরই আমি মাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন এবং আমি যেন ভালো করতে পারি সেই দোয়া করেছিলেন।
জাগো নিউজ: ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে আপনার লক্ষ্য কি?
সামিউল রাফি: আমি সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রিলেসহ তিনটি স্বর্ণ পেয়েছিলাম। এর মধ্যে ৫০ ও ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে আমি ২৭.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে এবং ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ৪৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতেছি। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে আমি এর চেয়ে ভালো টাইমিং করতে চাই।
জাগো নিউজ: আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই এত বড় টুর্নামেন্ট। কোন টেনশন লাগছে?
সামিউল রাফি: একটু একটু। কারণ, ভালো পড়াশুনা করেও পরীক্ষার হলে বসলে একুট টেনশন লাগে। আমারও সেরকম।
জাগো নিউজ: এই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আপনার কততম?
সামিউল রাফি: এটা আমার দ্বিতীয় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া। সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে খেলে ২টি রৌপ্য পেয়েছিলাম।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
সামিউল রাফি: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/আইএইচএস/