‘পেশাদার বক্সিংয়ের মজাই আলাদা’

১৯ মে বাংলাদেশের বক্সিং পেশাদার যুগে পা রাখার ঐতিহাসিক একদিন। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এ দিনে হয়েছে সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট-দ্য আলটিমেট গ্লোরি। প্রতিযোগিতার ওয়েল্টার ওয়েট ক্যাটাগরিতে নেপালের ভারত চাঁদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশের আল আমিন।
ক্যারিয়ারের প্রথম পেশাদার রিংয়ে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আল আমিন বলেছেন, প্রো-বক্সিংয়ের মজাই আলাদা। শুনিয়েছেন নতুন সব অভিজ্ঞতার কথা।
জাগো নিউজ : অভিনন্দন। প্রথম পেশাদার বক্সিং খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
আল আমিন : ধন্যবাদ। প্রথমবারের মতো পেশাদার বক্সিং খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটাতো অবশ্যই ভালো লাগার। ক্যারিয়ারে নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো।
জাগো নিউজ : অ্যামেচার বক্সিং খেলেন কতদিন ধরে?
আল আমিন : ২০০০ সালে জুনিয়র প্রতিযোগিতা দিয়ে আমার বক্সিং ক্যারিয়ার শুরু। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত খেলেছি যুব বক্সিং। তারপর থেকে সিনিয়র।
জাগো নিউজ : যখন রিংয়ে গেলেন তখন কেমন লাগছিল?
আল আমিন : আমি খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। কিছুটা চাপও কাজ করছিল। প্রথম খেলবো। নিজেদের দর্শক। প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত চাঁদ এর আগে দুইবার পেশাদার বক্সিং খেলেছে। সে নেপালের চ্যাম্পিয়নও। আমি ভালো খেলবো এমন একটা প্রত্যাশাও ছিল দর্শকদের। এসব মিলিয়ে একটা চাপ ছিল।
জাগো নিউজ : অ্যামেচার আর পেশাদার বক্সিংয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
আল আমিন : যারা খেলা দেখেন তাদের কাছে তেমন পার্থক্য মনে হবে না। তবে অ্যামেচার ও পেশাদার বক্সিংয়ে বেশ পার্থক্য আছে। শুধু নামেই নয়, নিয়ম কানুনও আলাদা। যেমন পেশাদারে রাউন্ড বেশি। পয়েন্টও আলাদা। নকআউটের নিয়মও ভিন্ন।
জাগো নিউজ : বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিংয়ের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
আল আমিন : মনে হয় ভালোই। আশা করি, শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে না। একবার যখন চালু হলোই, হয়তো এটার ধারাবাহিকতা থাকবে।
জাগো নিউজ : প্রো-বক্সিং খেলেতো খেলোয়াড়রা আয় করতে পারবেন। হয়তো বক্সিংয়ে আগ্রহও বাড়বে তরুণদের তাই না?
আল আমিন : অবশ্যই। খেলা হলে খেলোয়াড়দের আয় বাড়বে। কারণ, এখানে অর্থ আছে। অ্যামেচার খেলাটা তো শুধু দেশের জন্য। এসএ গেমসের সময় কিছু টাকা পাওয়া যায়। তা নিয়েও কত ঝামেলা। পেশাদার বক্সিংয়ে যেমন কষ্ট আছে, তেমন মজাও আছে।
জাগো নিউজ : প্রথম আসরের পরিবেশটা কেমন ছিল?
আল আমিন : অনেক ভালো। মনে হচ্ছিল বিদেশের কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলছি। দর্শকরাও বেশ আনন্দ পেয়েছে।
জাগো নিউজ : ধন্যবাদ।
আল আমিন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/আইএইচএস/