মুগডাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য। স্বল্প সময়ে এবং খরচ কম হওয়ায় মুগডাল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নড়াইলে এ বছর ২২৫ মেট্রিক টন মুগডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১৮০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। ডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। ডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ মেট্রিক টন। লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। ডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ মেট্রিকটন। কালিয়া উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। আর ডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ মেট্রিক টন।সদর উপজেলার কুড়িগ্রাম এলাকার প্রদ্যুৎ কুমার মুখার্জী বলেন, মুগডাল পুষ্টিকর খাদ্য। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মুগডাল ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।সদর উপজেলার ফেদি গ্রামের ছবেদা বেগম বলেন, মুগডালের মুড়িঘণ্ট এবং খিচুড়ি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।লোহাগড়া উপজেলার দেবি গ্রামের দুখু মিয়া শেখ বলেন, মুগডাল চাষে সময় ও খরচ যেমন কম লাগে তেমনি সার ওষুধ লাগে না বললেই চলে। তাই এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, জেলায় এ বছর ১৮০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। ডাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকরা মুগ ডাল আবাদে আগ্রহী হচ্ছে।হাফিজুল নিলু/এসএস/আরআইপি