আর মাত্র কয়েকদিন পরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সফটওয়্যার খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০১৬-১৯ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে নিয়ে ফেসবুকে কত ধরনেরই না স্ট্যাটাস দিচ্ছেন প্রার্থীসহ আইসিটিপ্রেমীরা।এবারের নির্বাচনে ডিজিটাল ব্রিগেড প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন এক ব্যক্তির মুরগিওয়ালা থেকে সফল ডিজিটাল প্রযুক্তিবিদ হওয়ার গল্প। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-‘আপনার মনে থাকার কথা নয়। আমি তখন মুরগিওয়ালা। গাজীপুরে আমার একটি মুরগির খামার ছিল। টিভিতে আপনার কম্পিউটার অনুষ্ঠান দেখি। মনে মনে ভাবি-এই যন্ত্র দিয়ে কী হয়। একদিন চলে এলাম কম্পিউটারের এক মেলায় টিকিট কেটে। সেখানেই জীবনের প্রথম কম্পিউটার দেখলাম। আপনি অনেক সময় নিয়ে যন্ত্রটি দেখালেন। আপনার ছেলে বিজয় সেই সময়ে অনেক ছোট। আপনি বিজয়কে কম্পিউটারটা ছেড়ে দিয়ে বললেন দেখ, এই শিশুটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে-তুমি কেন পারবে না। আমারও তাই মনে হলো- আমি কেন পারবো না। এরপর গড়ে ওঠে এক অসাধারণ ইতিহাস। আমি কম্পিউটারের জগতে প্রবেশ করি এবং কৃষির সঙ্গে এর যোগসূত্র স্থাপন করি।’তিনি লিখেছেন, ‘কথাগুলো বললেন ঢাকার বারিধারার এল২এন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম রাশেদুল ইসলাম। রাশেদুলের অফিসে এখন প্রায় ২৫ জন প্রোগ্রামার কাজ করে কৃষির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে। অন্যদিকে প্রায় সমসংখ্যক লোক কাজ করে মাঠে এর প্রয়োগ করতে। আমি তার কাছে কৃষির ইআরপির কথা শুনে বিস্মিত হয়েছি। অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। রাশেদুল মনে করেন কৃষির যে শক্ত ভিতটা আমাদের আছে তথ্যপ্রযুক্তি তাকে বহুগুণ সম্প্রসারিত করতে পারে। তার সর্বশেষ উদ্ভাবন ছাদের বাগান। আমি জানতে চেয়েছিলাম ছাদের ওপর বাগান বানাতে আইসিটি কী করতে পারে। রাশেদুল হাসতে হাসতে জবাব দিয়েছে, স্যার আপনি তো জানেন, অন্য কল-কারখানা বা ব্যবসা-বাণিজ্যে যা করা যায় তার চাইতে বেশি কিছু কৃষিতে করা যায়। আমার শত সহস্র শুভ কামনা রাশেদুলের জন্য। রাশেদুলরাই বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও শিল্পখাতের প্রাণ। ওরাই গড়বে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আসুন রাশেদুলদের পাশে থাকি।’আরএম/বিএ