লাইফস্টাইল

মৌনীর বদমাশে ঝালমুড়ির জাদু, দাম মাত্র ৫৫০ টাকা

অভিনয়ের পর্দার আলোতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি এই অভিনেত্রী, এখন তিনি রেস্তোরাঁর জগতেও নিজের ছাপ রেখেছেন। বলছি বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী মৌনী রায়ের কথা। এই সুন্দরীর ‘বদমাশ’ নামের রেস্তোরাঁর বিশেষ আকর্ষণ ঝালমুড়ি, যা মাত্র ৫৫০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে এখানকার আনন্দ শুধু ঝালমুড়িতেই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো মেনুই চমকে দেয়।

২০০৬ সালে ‘মহাদেব’ এবং ‘নাগিন’-এর মতো ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা মৌনী রায় এখন শুধু পর্দার নয়, খাবারের জগতেও তার সাফল্য দেখাচ্ছেন। ফুডি হিসেবে তিনি সবসময়ই স্ট্রিটফুডের প্রেমে।

২০২৩ সালে তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুর সারজাপুর এবং মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে তার প্রথম ‘বদমাশ’ রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন। এখন ভারতের বিভিন্ন শহরে তার ছয়টিরও বেশি শাখা রয়েছে।

বদমাশ-এর সাজসজ্জা এবং অদ্ভুত মেনু এটি বিশেষ করে তোলে। কলকাতাতেও একটি জনপ্রিয় শাখা রয়েছে। এখানে পাওয়া যায় সব রকমের ভারতীয় খাবার। নিরামিষ থেকে আমিষ, যার দাম সাধারণত ৪০০-১০০০ টাকার মধ্যে।

ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যেমন শাহি টুকরা এবং গোলাপজামের দাম ৫০০ টাকা।

এছাড়া জৈন-বান্ধব শোরবা যেমন টমেটো-তুলসি এবং পালং-নারকেল, দুটিরই দাম ৫০০ টাকা।

সবচেয়ে আলোচিত আইটেমের মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো ভেল, দাম ৬৫০ টাকা। মৌনী বলেন, ‘আমি অ্যাভোকাডো আর ঝালমুড়ি দুটোই খুব ভালোবাসি, তাই আমরা দুটো মিলিয়ে এই বিশেষ ডিশ তৈরি করেছি।’

রেস্তোরাঁর বিশেষ পানীয় ‘মৌনিলিশাস’ শসা, কিউই, লেবু, এল্ডারফ্লাওয়ার ও স্পার্কলিং ওয়াটারের সংমিশ্রণ, যার দাম ৮০০ টাকা। ‘আমি মিষ্টি পছন্দ করি না, তাই আমার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে-দারুণ স্বাদ কিন্তু মিষ্টি নয়’- বললেন মৌনী।

মেনুর অন্যান্য জনপ্রিয় আইটেমে রয়েছে মসলা চিনাবাদাম, মসলা পাপড়, ক্রিস্পি কর্ন, সেভ পুরি, পেঁয়াজের পাকোড়া এবং চিংড়ি (প্রায় ১০০০ টাকা)। তবে সবচেয়ে হিট ডিশ এখনও বদমাশ-এর ঝালমুড়ি।

মৌনী জানিয়েছেন, তার স্বামী সুরজ নাম্বিয়ার এবং বন্ধুদের উৎসাহেই তিনি রেস্তোরাঁ ব্যবসায় আগ্রহী হয়েছেন। ‘যেখানে যেতাম, বই, কফি আর ক্রোয়াসোঁ নিয়ে ক্যাফেতে বসতে ভালোবাসতাম। তখন ভাবতাম নিজের একটি জায়গা খোলার, যা তখন সম্ভব হয়নি। আজ স্বামী ও বন্ধুদের সহায়তায় আমি রেস্তোরাঁর মালিক হতে পেরেছি’- বললেন তিনি।

তার অনুপ্রেরণা? ‘আমি ভারতীয় খাবার খুব ভালোবাসি। বেঙ্গালুরু আর মুম্বাইতে ভালো ভারতীয় রেস্তোরাঁ খুব কম, তাই ‘বদমাশ’ খুলে সেরা কিছু করার সুযোগ পেলাম।’

জেএস/