যুবসমাজকে বইমুখী করতে ‘প্রাণের শক্তি বাড়ায় বই, বই পড়ে মানুষ হই’-স্লোগানে গত ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের আড্ডা আবর্তিত ছিল নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে।
৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডের চাঁদ টাওয়ারে অবস্থিত প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠাগারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা দিলীপ ঘোষ, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, বংশিবাদক বেলাল শেখ, খেলাফত মজলিসের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষালোর প্রতিষ্ঠাতা লিটন পাটওয়ারী, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন ও সাইফুল ইসলাম রাজিব।
আরও পড়ুন৬ বছরে ১৩ হাজার বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি‘রিবিল্ডিং বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ শুধু কথাসাহিত্যিকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ গীতিকারও ছিলেন। তাঁর লেখা অসংখ্য গান কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছে। বাংলা নাটকের নতুন ধারা তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশবরেণ্য অনেক শিল্পী ও অভিনেতা।’
তিনি বলেন, ‘হাস্যরসের ভেতর দিয়ে তিনি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। ব্যতিক্রম ধারার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলার ঘরে ঘরে তার গল্প-উপন্যাস এমন ভাবে ঢুকে পড়েছে যে, আর কোনো সাহিত্যিকের বেলায় এমনটা চোখে পড়ে না।’
সভাপ্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ গল্প-উপন্যাস এবং নাটকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনধারা অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে তুলে ধরেছেন। রম্যরসিকতার মাধ্যমে মুখোশধারী সমাজের কুৎসিত চিত্র উন্মোচন করেছেন তিনি।’
এসইউ/এএসএম