রান্না অনেকের জন্য আনন্দের, আবার অনেকের জন্য সময়-সাপেক্ষ বিরক্তিকর এক কাজ। বিশেষ করে ব্যস্ত জীবনে, সময় ও অর্থ দুটোরই টানাটানি থাকে। তবে ছোট ছোট পরিকল্পনা ও কিছু সহজ কৌশল মানলেই রান্নাঘরে খরচ কমানো এবং সময় বাঁচানো সম্ভব।
প্রতিদিন কী রান্না করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিলে বাজারে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমে যায়। পরিকল্পিত মেনু অনুযায়ী উপকরণ কিনলে খাদ্য অপচয়ও কম হয়।
২. ব্যাচ কুকিং করুনএকবারে বেশি পরিমাণে রান্না করে সেটি ফ্রিজে রাখুন। এতে পরবর্তী দিনের সময় বাঁচবে। সুপ, তরকারি বা ভাত ব্যাচে রান্না করলে প্রতিদিনের ঝামেলা কমে যায়।
৩. ফ্রেশ ও সহজ উপকরণ ব্যবহার করুনপ্রসেসড বা রেডিমেড খাবার কিনলে দাম বেশি পড়ে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিও থাকে। মৌসুমি ও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করলে খরচ কমে, স্বাদও ভালো থাকে।
সবজি, ফল ও মাংস সঠিকভাবে ফ্রিজ বা কুলার-ব্যাগে রাখুন। এতে উপকরণ দীর্ঘদিন তাজা থাকে, বারবার কেনাকাটা কমে।
৫. মাল্টি-পারপাস কুকওয়্যার ব্যবহার করুনএকই পাত্রে সেদ্ধ, ভাপা বা স্টু রান্না করা যায় এমন মাল্টি-পারপাস পাত্র ব্যবহার করুন। এতে ঘরে কম বাসন লাগে, ধোয়ার সময়ও বাঁচে।
৬. বর্জ্য কমানখাবারের বাকি অংশ পুনর্ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, সবজির খোসা থেকে স্যুপ বানানো বা পুরোনো রুটি দিয়ে ফ্রায়েড রুটি তৈরি করা যায়।
৭. প্রস্তুতিতে সহযোগিতা নিনপরিবারের সদস্যদের ছোট ছোট কাজে যুক্ত করুন — সবজি কাটা, টেবিল সাজানো বা বাসন ধোয়া। এতে রান্নার চাপ কমে এবং সময় বাঁচে।
ছোট ছোট এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করলে রান্নাঘরে খরচ ও সময় দুইই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি জীবনের মানও বেড়ে যায়।
সূত্র: দ্য স্প্রুস, হোম কুকিং ম্যাগাজিন
এএমপি/জেআইএম