সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা, জবাবদিহি জোরদারকরণ এবং মানসম্মত সাংবাদিকতা ধরে রাখতে সংবাদমাধ্যমকেই একটি টেকসই স্ব-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন স্তরের অংশীজনেরা।
সম্প্রতি ঢাকায় মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত দেশের গণমাধ্যমে স্ব-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: আইনি কাঠামো, বৈশ্বিক অনুশীলন ও জবাবদিহির পথনির্দেশনাবিষয়ক তিনটি পরামর্শ সভায় দেশের নানা প্রান্তের সংবাদমাধ্যম অংশীজনরা এ বিষয়ে তাদের মতামত জানান।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক থেকে শুরু করে বার্তাকক্ষের ব্যবস্থাপক, সংবাদকর্মী, ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, গণমাধ্যম উন্নয়নকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
সভাগুলোতে অংশীজনরা দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে পক্ষপাতমূলক রিপোর্টিং, ভিন্নমতের দমন, মালিকানা কেন্দ্রীকরণ, শাস্তিমূলক আইন, পেশাগত নীতিমালার দুর্বল প্রয়োগ, সংবাদভোক্তার অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অভাব ও সাংবাদিকদের জন্য অপর্যাপ্ত সুরক্ষা।
তারা জানান, সাংবাদিকতা আজ অস্তিত্বের সংকটের সম্মুখীন। এখনই একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর স্ব-নিয়ন্ত্রণ কাঠামো অনুসরণ না করলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার থেকে গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়; টেকসই সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সব অংশীজনের সমন্বিত ও ধারাবাহিক উদ্যোগ। যেখানে নেতৃত্ব দিতে হবে সংবাদমাধ্যম শিল্পকেই।
আলোচকরা মনে করেন, একটি কার্যকর স্ব-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করতে পারবে একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকেও যে কোনো ভুলের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে এবং অসত্য, অপতথ্যের যুগে জনগণের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে জনস্বার্থ রক্ষা করবে।
এমআইএইচএস/এমএস