খ্রিষ্টান নির্যাতনের অভিযোগে নাইজেরিয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার যেসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এসব সহিংসতায় জড়িত, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘চরমপন্থি সন্ত্রাসী, ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর মিলিশিয়া এবং অন্যান্য সহিংস গোষ্ঠী নাইজেরিয়া ও এর বাইরেও খ্রিষ্টানদের ওপর যে গণহত্যা ও সহিংসতা চালাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার জবাব দিচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী অন্যান্য দেশ বা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের নীতি প্রযোজ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২(এ)(৩)(সি) ধারার অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>হামলার হুমকির পর ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টনাইজেরিয়ায় কি আসলেই খ্রিষ্টান নিধন চলছে, ট্রাম্পের দাবি কতটা সত্য?নাইজেরিয়ার ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় সহিংসতার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় টার্গেট করে খ্রিষ্টান–মুসলমানদের ওপর হামলা, কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে সম্পদ–সংকটজনিত সংঘর্ষ, জাতিগত দ্বন্দ্ব, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সশস্ত্র গ্যাংয়ের মুক্তিপণের জন্য অপহরণ প্রভৃতি।
প্রায় ২২ কোটি মানুষের দেশটিতে খ্রিষ্টান ও মুসলমানের সংখ্যা প্রায় সমান। বহু বছর ধরে দেশটি নিরাপত্তাহীনতার মুখে রয়েছে, বিশেষ করে বোকো হারাম নামে সন্ত্রাসী সংগঠনের কারণে।
সম্প্রতি মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গ্যাং সক্রিয়তা বেড়েছে। তারা স্থানীয় মানুষজনকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছে।
এর মধ্যেই গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পেন্টাগনকে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: এপি, ইউএনবিকেএএ/