নাইজেরিয়ার ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
সেন্ট মেরিস স্কুলের ভেতরের দৃশ্য/ ছবি : এএফপি

নাইজেরিয়ার নাইজার অঙ্গরাজ্যের সেন্ট মেরিস স্কুল ক্যাথলিক থেকে ৩১৫ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অপহরণ করা হয়েছে। দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় গণ–অপহরণগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছে।

খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া (সিএএন) শনিবার (২২ নভেম্বর) জানিয়েছে, যাচাই–বাছাই শেষে অপহৃতের সংখ্যা আগের ২২৭ থেকে বেড়ে ৩১৫ জনে দাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩০৩ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। সিএএন জানায়, স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে আরও ৮৮ শিক্ষার্থীকে বন্দুকধারীরা ধরে নিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠী ও চরমপন্থিদের হামলা বেড়েছে। খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

নাইজার অঙ্গরাজ্য সরকার জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হুমকির কারণে বোর্ডিং স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেন্ট মেরিস স্কুল তা উপেক্ষা করে স্কুল খোলা রেখেছিল। তবে সিএএন –এর স্থানীয় চেয়ারম্যান রেভারেন্ড বুলুস দাউওয়া ইয়োহান্না বলেছেন, আমরা সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি যেন আমাদের সন্তানদের নিরাপদে ফেরানো যায়।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নাইজেরিয়ায় এটি তৃতীয় বড়ো অপহরণ। এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) কেব্বি অঙ্গরাজ্যের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে ২৫ স্কুলছাত্রী অপহৃত হয়। এরপর বুধবার (১৯ নভেম্বর) কওয়ারা অঙ্গরাজ্যের একটি গির্জা থেকে ৩৮ উপাসক অপহৃত হন। সর্বশেষ শুক্রবার(২১ নভেম্বর) সেন্ট মেরিস স্কুল থেকে ৩১৫ জনকে অপহরণ করা হয়।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৫০টি ফেডারেল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিছু অঙ্গরাজ্যে পাবলিক স্কুলও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে তারা নিষেধাজ্ঞা, এমনকি পেন্টাগনের সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে সরাসরি হস্তক্ষেপের মত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।