ঢাকার আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গণবিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতির ঢাকা বার শাখার সদস্যরা। এ ঘটনায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের পদত্যাগসহ আরও তিনটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো, ‘অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরও অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল কি-না, তার দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মানববন্ধন শুরুর সময়ে অভিযুক্তদের গাড়ি আদালত নিয়ে আসে পুলিশ সদস্যরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় মানববন্ধন অংশগ্রহণকারীরা ঘোষণা দেন, তিনদিনের মধ্যে দাবি কার্যকর ও ন্যায়বিচার না পেলে ফের আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।
মানববন্ধনের আয়োজক গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও আইনজীবী মাহাদি হাসান বলেন, ঘটনা সঙ্গে উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি মৃদল দেওয়ানের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে। আমরা শুনেছি, শাস্তির দাবি জানাতে গিয়ে উপাচার্য ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের রুম থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা উপাচার্যসহ সব অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। মামলার বিবরণে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ এপ্রিল পিকনিকে নেওয়ার নাম করে তাকে আশুলিয়ার ফুলেরটেক এলাকায় নিয়ে যান অভিযুক্তরা। পথে কোমল পানীয়তে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করার পর তাকে একটি কলোনির মেসে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
জ্ঞান ফেরার পর ধস্তাধস্তির ভিডিও ও অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন তাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং এভাবে ৯৬ হাজার টাকা আদায় নেয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়েরের পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করি। আসামিদের গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এমডিএএ/এমএএইচ/জেআইএম