‘পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই কমিশন কীভাবে গঠন হবে, এর উদ্দেশ্য ও কাজ কী হবে তা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য হলো পুলিশকে জনবান্ধব ও জনমুখী করা। এ কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে কী কী করণীয় এ বিষয়ে এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুনপাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ পাস
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পুলিশ যেন মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কীভাবে প্রশিক্ষণ দরকার এগুলো তারা চিহ্নিত করবে। এছাড়া পুলিশের ব্যাপারে নাগরিক যে অভিযোগগুলো থাকবে সেগুলোর তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা ও পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেগুলোর ও নিষ্পত্তি করবে এই কমিশন।
কমিশন যেসব কাজ করবেপুলিশি কার্যক্রমের দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন; শৃঙ্খলা-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান; নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি; পুলিশ সদস্যদের সংকট নিরসন; পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি; তথ্যপ্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থাপনা- ইত্যাদি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করা। এছাড়া পুলিশ সংক্রান্ত আইন নীতি ও গবেষণা করে এসব বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ করা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটি বাছাই কমিটির মাধ্যমে পুলিশ কমিশন গঠিত হবে। বাছাই কমিটিতে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ কর্মকমিশনের চেয়ারপারসন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সংসদের দুজন প্রতিনিধি।
এমইউ/ইএ