খুলনায় বন্ধের দিনেও ২৪টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন ও কর্মবিরতির কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত ছিল।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থগিত পরীক্ষার মধ্যে সরকারি ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে পরীক্ষা নিয়েছে। বাকি ২৪টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইটি বিষয়ে পরীক্ষা বাকি ছিল। তার মধ্যে একটি পরীক্ষা আজকে (৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল (৬ ডিসেম্বর) শনিবার বাকি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে।
লিমন হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আকরাম হোসেন বলেন, শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক পরীক্ষাকে জিম্মি করে এমনটা করা উচিত হয়নি। সবাই বার্ষিক পরীক্ষার পর একটু ঘুরতে ফিরতে গ্রামে যায়, এবার তাও সম্ভব হবে বলে মনে হবে না।
অন্য একজন অভিভাবক মোবারক হোসেন বলেন, পরীক্ষাকে জিম্মি করে আন্দোলন করা উচিত হয়নি। আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু কারো ক্ষতি হয়, এমন কিছু করা উচিত না। তিনি বলেন, শুক্রবার পরীক্ষা হয়েছে। তবে পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু শিক্ষকদের এমন আচরণে বাচ্চাদের মনে বিরূপ মনোভব তৈরি হয়। তাদের কাছে এমন আচরণ থেকে সরে আসার অনুরোধ রইলো।
খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ২৪টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুক্রবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (৬ ডিসেম্বর) স্থগিত অন্য পরীক্ষাটি নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এখানে কোনো বাধা বিপত্তি তৈরি হয়নি।
আরিফুর রহমান/কেএইচকে/এমএস