কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের দাপট বেড়েই চলছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনে শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুয়াশা পড়ার সঙ্গে দিন দিন তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়। জেলায় গড়ে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঘণ্টায় ১০ হতে ১৪ কিলোমিটার বাতাসের বেগ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের সুপার মার্কেট, নছর উদ্দিন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীত নিবারণের জন্য মানুষ ছুটছেন বিপণি বিতানগুলোতে। উচ্চবিত্তরা শপিং মলে ছুটলেও নিম্ন বিত্তবান মানুষের ভরসা পুরোনো কাপড় বিক্রির দোকানগুলো।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম (৫০) বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় কাজ করতে পারি নাই। হাতে টাকা নাই, ধার দেনা করে বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি।
মরিয়ম বেগম (৫০) বলেন, ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় ছেলে মেয়েদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি, এসে দেখি কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি। ঠান্ডা তো তাই বেশি দাম দিয়েই কিনলাম।
রোকনুজ্জামান মানু/কেএইচকে