একপ্রান্তে সতীর্থরা উইকেটে টিকতেই পারছেন না, আসছেন আর যাচ্ছেন। অন্যপ্রান্তে ঠিকই দলের রানের চাকা সচল রেখে গেছেন সিলেট অধিনায়ক জাকির হাসান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে করেছেন সেঞ্চুরি, স্পর্শ করেছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলক।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষে রোববার সিলেটের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৪ রান। প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৩১২ রানের জবাবে এখনও ৯৮ রানে পিছিয়ে তারা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এই ম্যাচে সিলেটের জিততেই হবে। ৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট দলটির, আছে শীর্ষে। তবে বাকি আরও ৫ দলও আছে শিরোপার দৌড়ে।
রোববার ৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বরিশাল। শেষ উইকেট জুটিতে রুয়েল মিয়ার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন সোহাগ গাজী। ৭০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন তিনি।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সিলেট। ৪৭ রানের মধ্যে চার উইকেট হারায় সিলেট। মুবিন আহমেদ দিশান ২, আসাদুল্লাহ আল গালিব ৫, অমিত হাসান ৫ এবং মুশফিকুর রহিম ৮ রানে ফিরে যান। এরপর দিশেহার সিলেটের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির।
আশরাফুল হাসান রিহাদকে নিয়ে গড়েন ১১৩ রানের জুটি। ৪১ রান করা আশরাফুলকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। এরপর তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেন জাকির। প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে ১৬তম সেঞ্চুরি তুলে দ্বিতীয় দিন শেষে জাকির।
একই দিনে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে পড়েছে ১৬টি উইকেট। ৯ উইকেটে ৩০২ রানে দিন শুরু করে ৩০৮ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রংপুর। খুলনার হয়ে ৭৮ রানে ৫ উইকেট নেন সফর আলি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে খুলনা।
১৭ ওভারে মাত্র ৪১ রান করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। এখন ১৭৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে খুলনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
বরিশাল প্রথম ইনিংস: ৩১২/১০ (সোহাগ গাজী ৬৮, ইফতেখার হোসেন ইফতি ৬৩, মহিউদ্দিন তারেক ১২-০-৪১-৩)।সিলেট প্রথম ইনিংস: ২১৪/৫ (জাকির ১৩০*, রুয়েল মিয়া ১৪-১-৫৫-২)।
এসকেডি/আইএ ইচএস/