চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হই যখন আপনারা (সাংবাদিক) এগুলো পত্রিকায় দেন অথচ একবারও জিজ্ঞাসা করেন না যে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন কত অবৈধ টাকা ওঠে। আমি একটা রাফ ফিগার দিতে পারি। মিনিমাম কত টাকা ওঠে।
আরও পড়ুন
নারীদের কর্মঘণ্টা ৫ ঘণ্টা করার দাবি জামায়াতের রাজনৈতিক স্লোগানপেঁয়াজের দাম কারসাজিতে জড়িতদের চাকরি থাকবে না: কৃষি উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটি জায়গায় চাঁদাবাজি। দিনের পর দিন ভেতরে ট্রাক দাঁড়ানো, এটা দাঁড়ানোর জায়গা না। কেউ না কেউ এখান থেকে চাঁদা নিচ্ছে। ওখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, বাইরে গেছে, সেখান থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। আপনারা নিজেরাই বলেন। যিনি চট্টগ্রামের মেয়র হন উনি চট্টগ্রামের মেয়র কম, বন্দরের রক্ষক বেশি। চট্টগ্রাম বন্দরটা হচ্ছে সোনার ডিম পাড়া মুরগির মতো। তাড়াতাড়ি এটা জবাই করে তাড়াতাড়ি বের করে খেয়ে ফেলো।
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, প্রথমে বলা হলো অমুক চলে গেলে তো ভাই বন্দর (চট্টগ্রাম বন্দর) ডাউন হয়ে যাবে। আমি নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম কী করবো? মিটিং করলাম, বললাম- পাঁচ শতাংশ কম হোক, সেটাতেও রাজি। যেখানে দিনের পর দিন লাগতো এখন সেখানে একদিন থেকে দেড় দিন, তারও কম সময় লাগছে। ইফিসিয়েন্সি বাড়ছে। আপনারা ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসা করেন না কেন?
চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধভাবে কত টাকা আসে, সেটা বলতে চেয়েছিলেন, সেটা একটু বলুন। এমন মন্তব্যের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আনুমানিক দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা প্রত্যেকটা দিন ওঠে। আপনি বন্দরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন তারা হয়তো আরও বেশি বলবে।
আরএমএম/এএমএ/জেআইএম