সামনের যুদ্ধটা অনেক কঠিন, ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে সামনে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে বলে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মনোনয়ন নিয়ে দলের ভেতর ক্ষোভ-অসন্তোষের গুঞ্জনের মধ্যেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নয়, মুখ্য ধানের শীষ, দল এবং দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা। ঐক্যবদ্ধ না হলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুনদেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছে: তারেক রহমানদুর্নীতির লাগাম একমাত্র বিএনপিই টেনে ধরতে পারে: তারেক রহমানফ্যাসিস্টরা পালালেও ফ্যাসিজমের কালো ছায়া কাটেনি: জামায়াত আমির
তারেক রহমান বলেন, কম-বেশি যেটা ভালো মনে হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তোমার এলাকায় প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে; হয়তো তুমি যাকে পছন্দ করতে, সে মনোনয়ন পায়নি—যে পেয়েছে তার সঙ্গে তোমার যোগাযোগ কম। কিন্তু আরে ভাই, তুমি তো প্রার্থীর জন্য নয়, তুমি ধানের শীষের জন্য, দলের জন্য! এখানে প্রার্থী মুখ্য নয়, মুখ্য তোমার দল, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা, মুখ্য ধানের শীষ।
তিনি বলেন, সামনের যুদ্ধটা অনেক কঠিন। ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে সামনে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে। আন্দোলনের সময় যেমন জনগণকে বুঝিয়েছিলে, তেমনি দেশ গড়ার পরিকল্পনা সম্পর্কেও তাদের বোঝাতে হবে, সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী দুই মাস বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এটা আজকের অঙ্গীকার। আশা করি তোমরা (উপস্থিত ছাত্রদল নেতারা) এটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন হায়দার, ডা. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
কেএইচ/ইএ/এমএস