দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যদিও বাংলাদেশকে সাধারণত নিম্ন সংক্রমণ হারের দেশ হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে নতুন শনাক্ত রোগী বাড়ছে। মোট সংক্রমণের হার কম হলেও জনসংখ্যার তুলনায় এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এখনো ঝুঁকি বেশি। আমাদের দেশে এইডস বিষয়ে সচেতনতা নেই, প্রচার-প্রচারণাও কমে গেছে। এখাতে বিদেশি সাহায্য কমে গেছে বা প্রায় বন্ধই বলা চলে। এছাড়া আছে অধিক জনসংখ্যা, শিক্ষার নিম্নহার, মাদকাসক্তির বিস্তার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ও এইচআইভি পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক লজ্জা ও কলঙ্ক।
ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে আক্রান্তদের একটি বড় অংশ নগরাঞ্চল, বিশেষত ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। আরেকটা বড় ভয় হচ্ছে তরুণ সমাজের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে এইচআইভির উচ্চ ঝুঁকিতে আছে প্রধানত পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী পুরুষ, ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তি, নারী-পুরুষ যৌনকর্মী ও অভিবাসী কর্মীরা।
ইউএনএইডসের এক প্রতিবেদন বলছে, সাধারণ মানুষের চেয়ে যৌনকর্মীদের এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকি ২১ গুণ বেশি। প্রয়োজনের সময় অনেকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না। শুধু যে নারী যৌনকর্মীই ঝুঁকির মধ্যে আছেন, তা নয়। পুরুষ যৌনকর্মী ও সমকামীরাও এইডস ঝুঁকিতে আছেন।
এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) এমন একটি ভাইরাস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এ থেকে এইডস হতে পারে। এইডস এমন একটি অবস্থা, যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্যান্য জীবাণু দিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখনো বিশ্বজুড়ে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচআইভি নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮ লাখ। গত বছর এইচআইভি সম্পর্কিত কারণে বিশ্বে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ১৩ লাখ নতুন এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত করা হয়।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। তখন বৃদ্ধির হার খুব অল্প ছিল। অবশ্য মানুষ প্রথমে বুঝতেও পারেনি রোগটা কী এবং কতটা ভয়াবহ। ক্রমশ এই হার বেড়েছে। তবে একটা সময়ে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের হার কমে গিয়েছিল। বহু বছর চুপচাপ থাকার পর আবারও আলোচনায় আসছে এইডস।
বাংলাদেশে এবছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছেন ২১৯ জন। ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ বছর ২১৭ জনের এইডস শনাক্ত হয়েছে। আর দেশে এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০।
স্কুল-কলেজ, মিডিয়া ও কমিউনিটি পর্যায়ে যৌনস্বাস্থ্য ও এইডস প্রতিরোধ নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি দরকার। অরক্ষিত যৌনসম্পর্ক এড়ানো এইডস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। নিয়মিত পরীক্ষা সংক্রমণের বিস্তার কমাতে সাহায্য করে। কাজেই ভয়ভীতি বা এড়িয়ে যাওয়া নয়, তথ্য জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
এইচআইভি পরীক্ষা ও এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে দেশের এআরটি কেন্দ্রগুলোতে শনাক্ত হওয়া এইচআইভি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের প্রায় সব জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমণ পরীক্ষার সুযোগ আছে। তবে উপজেলা হাসপাতালে তা নেই। উপজেলা পর্যায়ে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে এইচআইভি ছড়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। নারী-পুরুষ যৌনকর্মী ছাড়াও বিবাহিত দম্পতিদের মাধ্যমেও এ রোগের বিস্তার ঘটছে। আক্রান্তদের ৩৩ শতাংশ সাধারণ মানুষ। নতুন রোগীদের একটি বড় অংশ অভিবাসীকর্মী। তবে অভিবাসীদের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সংক্রমণের হার বেশি। এছাড়া কন্ডম ব্যবহারের প্রবণতা কম হওয়ায়, অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়মিত পরীক্ষা না করা এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটায় এইডস বাড়ছে।
চলতি বছরের রিপোর্ট বলছে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ, সীমান্তবর্তী জেলা যশোর ও রাজশাহীর পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। সিরাজগঞ্জকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, সেখানে ইনজেকশনযোগ্য মাদক সেবনকারীদের মধ্যে সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এইচআইভি আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮৭ জন ইনজেকশনযোগ্য মাদক ব্যবহারকারী, যারা সুই ভাগাভাগি করেন, ২৯ জন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চারজন পেশাদার যৌনকর্মী এবং ৩৫ জন সাধারণ নাগরিক।
এই বিষয়গুলো আমাদের সমাজে এতোটাই ট্যাবু যে প্রকাশ্যে বা অভিভাবকদের কাছে এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলা ও সচেতন হওয়া সম্ভব হয়না। এমনকি এইডস ধরা পড়লে অনেকেই গোপন করেন এবং কোনোরকম প্রটেকশন ছাড়াই স্ত্রী, প্রেমিকা ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।
কম বয়সে এই বিষয়ে সচেতন করা হয় না বলে আক্রান্তদের অনেকে তথ্য গোপন করে চিকিৎসাসেবা নেন। এটা অন্যদের মাঝে এইচআইভির সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। অথচ সচেতন হয়ে সঠিক তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিলে দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকা সম্ভব। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নতুন কারও মধ্যে ছড়ানোর ঝুঁকিও কম।
আরেকটা জরুরি বিষয় হলো আমাদের কিশোর-তরুণদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতার অভাব। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যশোরের ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের এআরটি সেন্টারে ৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন রোগীর বয়স ১৭ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। তরুণদের মধ্যে ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ দেশে তরুণরাই সংখ্যায় অধিক। কেন বাড়ছে এই সংখ্যা? এর পেছনে বেশকিছু কারণ আছে। তবে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে শুরু থেকেই যৌনজীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে অজ্ঞতা ও ভুল তথ্য প্রাপ্তি।
আমাদের অনেকের ধারণা যৌনতা একটি পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির বিষয় কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তেমনটা নয়। একটি লেখায় পড়লাম, একশ বছর আগে কিশোর কিশোরীদের যৌবনের শুরু হত গড়ে ১৬ বছর বয়সে। এখন সেটা নেমে এসেছে ১০ বছরে। এর মানে মানুষের যৌন চিন্তা ও শারীরিক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগেভাগেই।
স্কুল-কলেজগুলো হতে পারে এ সংক্রান্ত জ্ঞান দেয়ার জন্য যথাযথ জায়গা। কারণ এর মাধ্যমে সববয়সের শিক্ষার্থীদের কাছে, তাদের মতো করে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক, বাস্তবসম্মত এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে তথ্য পৌঁছানো সহজ হবে। তথ্য দেয়ার পাশাপাশি প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কেও ধারণা দেয়া যাবে। কারণ এখনো পরিবারে, সমাজে ও স্কুল পর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্য ও যৌন শিক্ষা নিয়ে কথা বলাটা ট্যাবুই রয়ে গেছে। কিশোর-তরুণ বয়সীরা বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানতে পারছে না বলে অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে এবং বিভিন্নধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।
কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত অপারেশন প্ল্যানে বয়:সন্ধিকালের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও, বাবা-মা, অভিভাবক, স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় নেতা, সমাজকর্মী, স্থানীয় মতমোড়ল ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামান না। অথচ এবিষয়ে তাদেরই সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়ার কথা বলা হচ্ছে বারবার।
কৈশোর বান্ধব ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে সেবা কেন্দ্রের সেবা সম্পর্কে কারো কোনো সুস্পষ্ট ধারণা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তার অভাব রয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা সেবা গ্রহণের সময় সেবাদানকারীর কক্ষের বাইরে অযাচিতভাবে মানুষ উঁকিঝুঁকি দেয়। যত্ন নিয়ে বা গুরুত্ব দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের সাথে কথা বলা হয় না।
একজন শিশু যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে, তখন সেই শিশুর জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। যা জানা তাদের জন্য জরুরি, তারা তা জানতে পারছেনা। স্টিগমা ও বিভিন্নধরনের বিতর্কিত কথাবার্তার কারণে বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্য ইস্যুগুলো নিয়ে কথাই বলা যায় না। বাল্য বয়সে গর্ভধারণ, অনিরাপদ গর্ভপাত, যৌনরোগ সংক্রমণ, যৌনতা বিষয়ক সহিংসতা।
ইউএনএইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত ও সেবার পরিধি বেড়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া রোধে প্রচারকাজ বাড়ানো যেতে পারে। আর পাঠ্যক্রমে এ বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক বিষয় যুক্ত করা দরকার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, মাদক গ্রহণের সময় সুই ভাগাভাগি, কনডম ব্যবহারের প্রবণতা কম, অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক, যৌন স্বাস্থ্যশিক্ষার অভাব, রোগনির্ণয়ের প্রাথমিক পরীক্ষাকে নিরুৎসাহিত করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। তরুণ বয়সী হিজড়া ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর নতুনভাবে আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ ভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছর। আর ২১ ভাগের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছর।
মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও এইডস এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম। এই ভাইরোলজিস্ট গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন এইচআইভির চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। তারপরও এত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণ হতে পারে নিয়মিত এবং যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন না আক্রান্ত ব্যক্তিরা। আবার যে-সব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার। সচেতনতা, প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সেবা গ্রহণে সামাজিক লজ্জা, ভয় ও বৈষম্য এখনো বড় বাধা। অরক্ষিত যৌনসম্পর্ক এবং বহু সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে এই রোগে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। সচেতনতার ঘাটতি, লুকানো যৌনসম্পর্ক এবং স্বাস্থ্যসেবা না নেওয়ার প্রবণতা ঝুঁকি বাড়ায়। এইডস, যৌনরোগ, প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি পথ সহজ করতে হবে।
স্কুল-কলেজ, মিডিয়া ও কমিউনিটি পর্যায়ে যৌনস্বাস্থ্য ও এইডস প্রতিরোধ নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি দরকার। অরক্ষিত যৌনসম্পর্ক এড়ানো এইডস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। নিয়মিত পরীক্ষা সংক্রমণের বিস্তার কমাতে সাহায্য করে। কাজেই ভয়ভীতি বা এড়িয়ে যাওয়া নয়, তথ্য জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।
এইচআর/জেআইএম