সোশ্যাল মিডিয়া

গর্তে পড়া সাজিদের জন্য উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। অভিযানের অংশ হিসেবে ওই গর্তে ক্যামেরা নামানো হয়েছে। দুই বছরের শিশুটিকে উদ্ধারে বুধবার থেকেই কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দেশের নাগরিকরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছেন।

আসাদুজ্জামান লিমন লিখেছেন, ‌‘রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি ডিপ টিউবওয়েলের বোরিং পাইপের ভেতরে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট পর্যন্ত খনন করেও পাওয়া যায়নি।’

রবিউল কমল লিখেছেন, ‘দুই বছরের শিশু সাজিদ গর্তে পড়ে গেছে। তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাজিদের জন্য পুরো একটা গ্রাম জেগেছিল। সারাদেশের মানুষ জেগেছিল। আর রাষ্ট্র! রাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা শীতের রাতে মখমলের কম্বলের নিচে ঘুমিয়ে ওম খুঁজেছে। কোনো এক গ্রামের একটা শিশু মরলেই বা তাদের কী? একদিন পর শোক প্রকাশ করবে। দুই লাখ টাকা অনুদান দেবে। ব্যস দায় শেষ হয়ে গেল! অথচ শিশুটি বাংলাদেশের নাগরিক। এই দেশে তার জন্ম হয়েছে। বিপদে পড়লে তাকে উদ্ধার করতে হবে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দিয়ে তাকে উদ্ধার করতে হবে। এটা তার অধিকার। কিন্তু তার অধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এত ঘণ্টা পেরিয়ে গেল, কোনো উপদেষ্টা শিশুটার খোঁজ নিয়েছেন?’

আরও পড়ুনসততা এখনো বিলুপ্ত হয়নি, মানবতা এখনো জীবিত ফেসবুকে ‘লাল কয়েন’ বিক্রি, প্রতারণা নয় তো? 

সাইয়েদ আল হাসান শিমুল লিখেছেন, ‘৪২ ফুট গভীরেও সন্ধান মেলেনি সাজিদের। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।’

রাইসুল ইসলাম লিখেছেন, ‘রাজশাহীতে যে শিশুটি গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে গেল, জানি না তার কী অবস্থা। তবে এমন কিছু কিছু ঘটনায় বোঝা যায়, দেশ হিসেবে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি। ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। রাষ্ট্র তাদের যা দিয়েছে, সামর্থ অতটুকুই। আমরা মুখে মুখে উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগোনোর বুলি ছাড়ি। অথচ তাদের ছিঁটেফোঁটাও করতে পারি না। পারলে এমন ঘটনায় আমাদের হা করে তাকিয়ে থাকতে হতো না। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া যেতো। তবুও চাই, আল্লাহ উত্তম ব্যবস্থা করে দিন। লাখ লাখ মানুষ তাকিয়ে আছে শিশুটির দিকে। সবার দোয়া বিফলে দিও না মাবুদ। জানি না কী হবে। কিন্তু বাচ্চাটি যদি বেঁচে ফেরে, তা হবে ইতিহাস। আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম।’

হাবিব মোস্তফা লিখেছেন, ‘গর্ত থেকে একটা বাচ্চা উদ্ধারে এই অবস্থা হলে বড় ভূমিকম্পে এই জাতির কী হবে?’

এসইউ