জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আইনে কিছু যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ফেরারি আসামি, অপ্রকৃতিস্থ হওয়াসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ আছে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের দফা (১) ও (২) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে ও সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন। এটিই যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে এ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য কারণে একজন ব্যক্তি অযোগ্য হতে পারেন। কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে, ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত হলে, দেউলিয়া হয়ে দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে তা অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হয়। তবে পরবর্তীতে যদি তিনি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন কিংবা পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি আর অযোগ্য থাকবেন না।
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড পেলে এবং কারাভোগ শেষে পাঁচ বছর পূর্ণ না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।
এদিকে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে এবং প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকলে তিনি সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হবেন। এছাড়া মনোনয়নপত্রেও বেশ কিছু তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা আছে; এসব তথ্যের ঘাটতি থাকলে মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে। আবার হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলেও প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এমওএস/কেএএ/