জাতীয়

দস্তগীর গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ৮৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জসীম উদ্দিন খান বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি। প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবরদখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

মামলায় এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন—গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭), এমদাদুল হক (৫২), সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।

অনুসন্ধানের তথ্য জানিয়ে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, তারা অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র গড়ে তোলে। চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৬ জন ভুক্তভোগীর মালিকানাধীন মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি ভুয়া দলিল তৈরি করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল ও হস্তান্তর করে।

সরকারি বাজারদর অনুযায়ী এসব জমির মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা। এসব জমি দীর্ঘদিন ধরেই দখল-বিবাদ ও অবৈধ লেনদেনের আওতায় ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ইতোমধ্যে পারমিশন পিটিশন নং–৬৮৪/২০২৫ (তারিখ: ৮ জুলাই ২০২৫) অনুযায়ী সম্পত্তি ক্রোক করেছেন। এসব ক্রোককৃত সম্পত্তির আনুমানিক বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

কেআর/এমকেআর/এমএস