ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জড়িতরা যাতে গোপনে দেশত্যাগ করতে না পারে সে জন্য সিলেটের সবকটি সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেও বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি।
বিজিবি জানায়, কিছু কিছু এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে অবৈধ পারাপার রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
বিজিবি আরও জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সব সীমান্ত এলাকায় এ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান জানান, ওই ঘটনার পর থেকে ৫৫ বিজিবি অধীন ১৬টি বিওপি নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য পলায়ন ও অবৈধ পারাপারের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ জেলার প্রায় ১০৩ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পাশের দেশে পলায়ন ও সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের (৪৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পলায়ন ও সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকার দায়িত্বে থাকা সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, দুপুর থেকে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪/৫ টি মোবাইল চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরেও প্রতিটি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত টহল মোতায়েন করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তি আটক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এরকম তৎপরতা কতদিন থাকবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।। তবে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আহমেদ জামিল/আরএইচ/জেআইএম