অর্থনীতি

আলু সরবরাহ চেইন শক্তিশালীকরণে প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ

 

দেশের আলু খাতকে উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে শক্তিশালী করে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে কৌশলগত অগ্রাধিকার, প্রযুক্তিগত সমাধান এবং কার্যকর নীতিগত সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আলু বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কুড়িলে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘আলু উৎসব ২০২৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মতামত উঠে এসেছে।

সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাংলাদেশের আলু ভ্যালু চেইন শক্তিশালীকরণ: বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য কৌশলগত অগ্রাধিকার, প্রযুক্তিগত সমাধান ও নীতিগত পথনির্দেশনা।’

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. মাহমুদুর রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুর রিয়াজ।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রহিম, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিসি) সাবেক উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং গাজীপুর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. খুরশীদ আলম।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, উৎপাদন-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, আধুনিক কোল্ড-চেইন অবকাঠামো গড়ে তোলা, আলু প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সম্প্রসারণ, রপ্তানিযোগ্য মান নিশ্চিতকরণ এবং সমন্বিত নীতিগত সহায়তা জোরদার করা গেলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে আলুভিত্তিক পণ্যে শক্ত অবস্থান অর্জন করতে পারবে।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক রাজীব এইচ চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, আলুর ভ্যালু চেইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আলু চাষের শুরু থেকে বীজ উৎপাদন, ফসল ফলানো, সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ (যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি), সংরক্ষণ (কোল্ড স্টোরেজ), পরিবহন, বাজারজাতকরণ এবং অবশেষে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের মাধ্যমে আলুর দাম বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পোস্টমাস্টার কমিউনিকেশন।

এনএইচ/এমএএইচ/