নারী ও শিশু

নারী-শিশুর অধিকারকে নির্বাচনি ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান

রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে নারী ও শিশুর অধিকারকে অগ্রাধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সাতটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় কোয়ালিশন ফর ইকুয়ালিটি অ্যান্ড জাস্টিসের ব্যানারে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের এক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংলাপে রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন। এসময় সাত সংস্থার জোটটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নারী ও শিশু অধিকারের প্রস্তাবিত অবস্থানপত্র হস্তান্তর করে এবং তা নির্বাচনি অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে বাস্তব নীতিমালা ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। যাতে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের জন্য ন্যায্য, স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং দারিদ্র্য হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে টেকসই রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ছাড়া এসব অর্জন ভঙ্গুর থেকে যায়।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন নারী ও শিশুর অধিকারকে রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কেন্দ্রে স্থাপন করার সুযোগ দিয়েছে।

সংলাপে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে জোটের অবস্থানপত্র উপস্থাপন করে। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, বাল্যবিবাহ, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম, ডিজিটাল হয়রানি, পর্যাপ্ত শৌচাগার সুবিধার অভাব, অপুষ্টি এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতি ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।

এসময় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা নারী ও শিশুর অধিকারকে জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকারের কেন্দ্রে রাখার গুরুত্ব স্বীকার এবং বৈষম্য দূর করতে নীতিগত কাঠামো শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে জোটটি রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। সেই সঙ্গে জোর দেন যে নারী ও শিশুর কল্যাণ এবং নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন কখনো রাজনৈতিক আলোচনার প্রান্তে থাকা উচিত নয়।

জেপিআই/একিউএফ/এএসএম