আন্তর্জাতিক

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দলের বড় সমাবেশ

নেপালে বিশাল সমাবেশ করেছে জেন-জিদের বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির রাজনৈতিক দল। তিন মাস আগে দেশটিতে ওই বিক্ষোভের পর এটাই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ। শনিবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে হাজার হাজার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেয়। খবর রয়টার্সের।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির তিন দিনের সম্মেলন শুরু করার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে ভক্তপুরে এই সমাবেশে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। সমাবেশের আগে আয়োজকরা বলেছিলেন যে, তারা তিন লাখ মানুষকে সমাবেশে নিয়ে আসবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক পুরঞ্জন আচার্য বলেন, দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের পর থেকে রাজধানীর যেকোনো দলের ‘সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ’ এটি। গত সেপ্টেম্বরে ওই বিক্ষোভ-আন্দোলন এবং পরবর্তী সহিংসতায় ৭৭ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয় আরও দুই হাজারের বেশি মানুষ।

সে সময় নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্টসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে অলিসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিককে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে রেখেছিল সেনাবাহিনী। আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় নেপালে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিক্ষোভের পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংসদ ভেঙে দেয়। এদিকে নেপালে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলে আসছেন ওলি। শনিবারের সমাবেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওলি আরও বলেন, তাদেরকে জেন-জি বিরোধী বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখরেল বলেন, যদিও তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তবুও তারা মানুষের হৃদয়ে আছেন। সমাবেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতিই এর প্রমাণ।

কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের কনভেনশনে আগামীকাল সোমবার দলের নতুন সভাপতি বেছে নিতে দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধি ভোট দেবেন। দলটির বর্তমান সভাপতি অলি নিজেই। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঈশ্বর পোখরেল। আগামী ৫ মার্চ দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে। নতুন সভাপতির নেতৃত্বে পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে নেপালের সবচেয়ে বড় কমিউনিস্ট দলটি।

টিটিএন