ক্যাম্পাস

রাত পোহালেই রাবিতে সমাবর্তন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন বুধবার (১৭ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে চলছে উৎসবের আমেজ। এরইমধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন গ্র্যাজুয়েটরা।

সুষ্ঠুভাবে সমাবর্তন সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। সমাবর্তনের মূল প্যান্ডেলের কাজ শেষ হয়েছে। গাছগুলোতে সাদা চুন দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে রাস্তাঘাট। ভবনগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এ যেন এক অন্যরকম পরিবেশ।

সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা ও সমাবর্তনের দিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে দেওয়া হবে গাউন, টুপিসহ অন্যান্য সমাবর্তন সামগ্রী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম সমাবর্তনে অংশ নেবেন পাঁচ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক। এতে উপস্থিত থাকবেন ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান); ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এমফিল, এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। সমাবর্তনে বিশেষ আতিথি হিসেবে থাকবেন সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের জন্য আইডি কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। সমবর্তনস্থলে কেবল নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা প্রবেশ করতে পারবেন। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের পরিবারের সদস্যরাও প্রবেশ করতে পারবেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এরইমধ্যে গ্র্যাজুয়েটরা আসা শুরু করেছেন। এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস একেবারে উৎসবে পরিপূর্ণ। আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক মতো হবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা বিভাগ থেকে তাদের উপহারসামগ্রী সংগ্রহ করবেন। আর আমাদের যারা অন্যান্য অতিথি, সম্মানিত শিক্ষক তাদেরটা আমাদের সিনেট ভবন থেকে থেকে দেওয়া হবে।’

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এমএস