ম্যাচের সব আলো একাই কেড়ে নিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের গোলকিপার মাতভেই সাফানভ। টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের চার শট। ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা উসমান দেম্বেলের শট ফ্ল্যামেঙ্গোর গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলে হতাশায় পড়ে যান তিনি। তবে সেই হতাশা দূর করার দায়িত্ব নেন রুশ গোলকিপার।
টাইব্রেকারে চারটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে ফ্ল্যামেঙ্গোর স্বপ্নভঙ্গ করে পিসজিকে প্রথমবারের মতো ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জেতালেন মাতভেই সাফানভ।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেশ হয় ১-১ সমতায়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষেওঃ ম্যাচের স্কোরে কোনো পরিবর্তন আসেনি। টাইব্রেকারে খেলা গড়ালে সেখানে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখায় পিএসজির গোলকিপার। ফলে ২-১ ব্যবধানে জিতে শিরোপা নেয় লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে এগিয়েও যায় প্রথমার্ধের শেষদিকে। দিজিরে দুয়ের শট ডান দিক থেকে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বলে গোল আদায় করে নেন খাভিচা কাভারাস্খেলিয়া ৩৮ মিনিটে।
প্রথমার্ধে ম্যাচের গোল হয় ওই একটাই। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্ল্যামেঙ্গো। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি জর্জিনিয়ো।
৯০ মিনিটের খেলায় আরকোনো গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়েও গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউই। পরে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটে গোল পায় দুই দলই। এরপরই পিএসজির গোলকিপার দেখান অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন সাউল নিগেসের শট।
ফ্ল্যামেঙ্গোর একটি মিস কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন পিএসজির দেম্বেলে। তিনি নিজেই করে বসেন মিস। তাতে সাফানভের আত্মবিশ্বাসে পড়েনি কোনো ঘাটতি। ফ্ল্যামেঙ্গোর পেদ্রো, লিও পেরেইরা ও লুইস আরাউহোর শট ঠেকিয়ে ম্যাচ একাই পিএসজির দিকে এনে দেন তিনি।
নুনো মেন্দেসের সফল শটে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির।
বছরের শেষ প্রান্তে এসেও পিএসজির সাফল্যের ক্ষুধা কমেনি। ইউরোপ সেরার পরিচয়ের পর উয়েফা সুপার কাপ জিতে তারা আবারও প্রমাণ করে দেয়, এই মৌসুমে তাদের থামানো কঠিন। সেই ধারাবাহিকতার আসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরেকটি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে—যা প্যারিসের ক্লাবটির আধিপত্যে যোগ করে নতুন এক পালক।
আইএন