একুশে বইমেলা

ছোটোদের অণুকাব্য: মজার রাজ্যে আমন্ত্রণ

জোহরা শিউলী

‘আয়নায় দেখি/ বড়ো হচ্ছি তাই তো/ আমি আর/ ছোটোটি নাই তো...’। পড়ছিলাম তোমাদের প্রিয় ছড়াকার দন্ত্যস রওশনের ‘ছোটোদের অণুকাব্য ২’ বইটি থেকে।

ছড়াটি পড়ে মনে হলো, একদম সত্যি কথা। তোমরা আর এখন ছোটোটি নও। স্কুলে যাচ্ছ। পড়াশোনা করছো। কত দায়িত্ব এখন! মেনে চলতে হয় ডেইলি রুটিন।

সেই রুটিনের ফাঁকে ফাঁকে এবার তোমাদের একটা মজার রাজ্যে আমন্ত্রণ জানাই। তোমাদের যাদের বয়স সাত কিংবা সাতের চেয়ে বেশি, তাদের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড এনেছে বইটি।

অনেকে হয়তো পড়ে ফেলেছো প্রথম পর্ব ‘ছোটোদের অণুকাব্য’ বইটিও। যারা পড়েছো; তারা তো জানোই কী মজার একটি বই এটি। হাতের মুঠোয় এঁটে যায় অণুকাব্যের সমাহার। মুঠোবন্দি করে ছন্দে ছন্দে হারিয়ে যাওয়া যায় বইটি নিয়ে।

চলো, আমরাও এবার একটু ছন্দে ছন্দে হারাই—‘মেঘ বলল আমার আকাশ/ ভীষণ পরিপাটি/ বৃষ্টি বলে ফসল ফলায়/ আমার সোনার মাটি’।

প্রকৃতি, দেশ ছাড়াও আছে মাকে নিয়ে অণুকাব্য। ‘কী যে ভালো/ মায়ের বুকের ঘ্রাণ/ মনটা নাচে/ জুড়িয়ে যায় প্রাণ’। সেই সঙ্গে আছে, ‘বনের পাখি/ স্বাধীন স্বাধীন/ মেলছে ডানা/ তাধিন তাধিন’ আর ‘কাকটা এসে/ ছোঁ মেরে নেয় সাবান/ ঘাটে বসে/ তিন বুড়ি পান চাবান’।

আরও পড়ুনচরিত্রহীন: মানবমনের গভীর উপলব্ধি চেনা আগুন: ত্রিমুখী প্রেম ও সংকট 

শুধু কি পাখিদের নিয়েই হয়েছে কলকাকলি? আছে খাবার-দাবার নিয়েও অণুকাব্য। ‘বাবা খায় টক দই/ আমি খাই মিষ্টি/ মা রাঁধে খিচুড়ি/ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি’। আরও আছে—‘পুঁটি মাছ লাফ দেয়/ ডুবে থাকে শিং-কই/ মাংসের রান্নায়/ মামি দেয় টকদই’।

খাবার-দাবার নিয়েই শেষ নয়। একটু করতে হয় পড়াশোনার গল্পও। ‘স্যারের কথা/ কেউ কোরো না হেলা/ ফেল করলে/ বুঝবে তখন ঠ্যালা’।

পড়াশোনা হলো শেষ। এবার তাহলে? ছুটি—সেটা নিয়েও আছে মজার আরেকটি অণুকাব্য। ‘বাজল যখন/ ছুটির ঘণ্টা/ নাচল তখন/ আমার মনটা।’ এমন মনখুশিতে যখন অণুকাব্য বইটি শেষ করলে; তখন ইচ্ছে করে না কাজিন-কুজিন আর ক্লাসের বন্ধুদের এই বইয়ের কথা বলতে? তাদেরও বলে দাও মজার বইটির কথা।

বুকশপ পিবিএস থেকে অনলাইন-অফলাইন দুভাবেই সংগ্রহ করতে পারবে বইটি। এ ছাড়া নিয়মিত বইয়ের দোকানগুলোতে তো আছেই ‘ছোটোদের অণুকাব্য ২’ বইটি।

এসইউ