যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকুল হোসাইনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদি মাসুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চৌগাছার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ও কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আলী।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অস্ত্রের মহড়ায় তিনি উপজেলার রাজপথ দখলে নিয়ে আন্দোলন দমনের সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। মাসুদ চৌধুরির নির্দেশে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা উপজেলা ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন। এছাড়াও মেহেদি মাসুদ চৌধুরি যশোর জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনার আসামি। অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান-২ এর অংশ হিসেবে মেহেদি মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ডেভিল হান্টের প্রথম পর্বের অভিযানে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল ডিবি পুলিশ ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করে।
এদিকে বুধবার গভীর রাতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকুল হোসাইনকে শহরের রায়পাড়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি বেনাপোলের ঘিবা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। রাতেই তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আকুল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেনাপোলের সাবেক পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের তিনটি দল মিরপুর, দারুস সালাম ও গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকুল ও তার চার সহযোগীকে আটক করে। তারা হলেন, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল আজিম, ফারুক হোসেন এবং ফজলুর রহমান। তারা প্রত্যেকেই বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ৮টি বিদেশি পিস্তল, ১৬টি ম্যাগাজিন ও ৮টি গুলি ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলাও হয়।
মিলন রহমান/এমএন/এএসএম