খুলনা মহানগরীর আদালত প্রাঙ্গণে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরেছে র্যাব। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি এবং এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) র্যাব-৬ এর মিডিয়া অফিসার ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অন্যতম মূল আসামি মো. ইজাজুল হোসেনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রূপসা উপজেলার আইচগাতী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে খুলনা আদালত চত্বরে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় নৃশংসভাবে খুন হন ফজলে রাব্বী রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদার (৪০)। ঘাতকরা প্রকাশ্যে তাদের গুলি করার পর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে ইজাজুল হোসেনকে সরাসরি হামলায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬-এর একটি বিশেষ দল সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ শুরু করে। দীর্ঘ নজরদারির পর রূপসা নদীর ওপারে অভিযান চালিয়ে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হওয়া ইজাজুলকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, খুলনা মহানগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল। বিশেষ করে মাদক ব্যবসার টাকা বণ্টন এবং বিভিন্ন খাত থেকে তোলা চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই বিবাদ চরমে পৌঁছায়। এরই জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আদালত প্রাঙ্গণে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
র্যাব-৬ এর মিডিয়া অফিসার ফজলুর রহমান জানান, সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডটি মূলত খুলনা মহানগরীতে বিদ্যমান দুইটা সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে অন্তঃকোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই ঘটে। মাদকের টাকা ভাগাভাগি, চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিবাদের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এছাড়া বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরিফুর রহমান/কেএইচকে/এএসএম