চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ পরিচালনা করে যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বারকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বৃহস্পতিবার রাতে ছড়িয়ে পড়ার পর আব্দুল জব্বার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি ওঠে।
আটক আব্দুল জব্বার বাঁশখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার উল্লাহ পাড়ার গনু মিয়ার ছেলে। তিনি বাঁশখালী পৌরসভা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আটক আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর নির্বিচার হামলা, গুরুতর জখম, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি আরও জানান, শনিবার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এমআরএএইচ/এমআরএম/এএসএম