আমি হাদি, লড়ে যাই—এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিপ্রায়ে।আমি হাদি, শামিল হই—আজাদীর মিছিলে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে।আমি হাদি, দাঁড়িয়ে যাই—শাহবাগের মুক্তমঞ্চে, জনতার কাতারে।আমি হাদি, এক অতন্দ্র প্রহরী—ঘুমহীন চোখে জুলাইকে পাহারা দিই।মনে কেবল জুলাই হারানোর শঙ্কা!শপথ করেছি, জান দেবো কিন্তু জুলাই দেবো না।আমি হাদি, নজরুলের সেই বিদ্রোহী,দ্রোহের আগুনে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিই—গোলামির যতসব শিকল।আমি হাদি, ইয়েমেনি হাতেম তায়ির মতোআমিও চাই ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী জয় করতে।আমি হাদি, তেজী ঘোড়ার মতো ছুটে বেড়াইমজলুমদের উদ্ধার করতে।আমি হাদি, খালিদ বিন ওয়ালিদের মতোতলোয়ার হাতে রুখে দিই শাসকের গতি।স্বৈরাচারের মসনদ গুড়িয়ে দিই নিমিষে।আমি হাদি, ছুটে চলি—ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।আমি হাদি, শাসকের বুলেটেরসামনে দাঁড়িয়ে যাই প্রতিবাদের স্তম্ভ হয়ে।দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলে উঠি—‘গুলি কর’আমি হাদি, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লায় দাঁড়িয়েনিশান হাতে ডাক দিই স্বাধীনতার।আমি হাদি, রাইফেল কাঁধে ঘুরে বেড়াইবাংলার পথে প্রান্তরে,শকুনের হাত থেকে মাতৃভূমিকে বাঁচাতে।আমি হাদি, এক বিপ্লবী যোদ্ধা—যুদ্ধের ময়দান রঞ্জিত করি শত্রুর শোণিতে।আমি হাদি, পথ চলছি নতুন সূর্য আনতে।শত হিংস্র হায়েনা পথ চেয়ে আছেআমার গতি থামিয়ে দিতে।ভাবছো কি? আমাকে গুলি করবে?পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে?আমি হয়তো চলে যাবো, হয়তো বুলেট এসে জীবনকে থামিয়ে দেবে—কিন্তু কোটি বাঙালির হৃদয়ে জেগে থাকাহাদিকে তোমরা নিঃশেষ করতে পারবে না।মাটির টানে আমি ফিরে আসবো বারবার।আবারও দেখা হবে রাজপথে,কোনো এক আজাদীর আন্দোলনে।মিছিলের সামনের সারিতে তোমরা আমাকে খুঁজে পাবে। ইনকিলাবের স্লোগানে, ধ্বনিত হবে কণ্ঠস্বর।
এসইউ