লাইফস্টাইল

বিয়েতে লাল শাড়ি কেনার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন

 

বিয়ে মানে জীবনের নতুন ইনিংসের শুরু। সেই বিশেষ দিনটি যাতে আরও স্মরণীয় হয়, তাই সাজ নিয়ে কমবেশি সব কনেই একটু বেশি খুঁতখুঁতে হন। বাঙালিবধূদের মধ্যে বিয়ের দিনের সাজের ক্ষেত্রে লাল রঙের শাড়ি এখনো বিশেষ জনপ্রিয়। রিসেপশনের দিন যত ডিজাইনের লেহেঙ্গা বা জমকালো পোশাকই পরা হোক না কেন, বিয়ের মূল দিনে লাল শাড়ি পরার চাহিদা এখনও অটুট। লাল রঙ শুধু সৌন্দর্য নয় বরং এটি ঐতিহ্য ও শুভতা প্রকাশের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিয়ে দিনের শাড়ি নির্বাচন শুধু সাজ নয়, স্মৃতি হয়ে থাকে জীবনের দীর্ঘ সময়ের জন্য। কিন্তু অনেক সময় বিয়ের শাড়ি কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় না রাখলে পরে আফসোস হতে পারে। সঠিক রং, মান, কাপড়ের ধরন, বাজেট এবং পরিধানের সুবিধা-এসব বিষয় মাথায় রেখে শাড়ি বাছাই করলে বিয়ের দিন আপনার সাজ হয়ে উঠবে নিখুঁত।

জেনে নেওয়া যাক বিয়ের শাড়ি কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত-

লাল শাড়ির সঠিক শেড বাছাই করুনবিয়ের দিনে লাল শাড়ি পরার মতো এক ক্লাসিক ট্র্যাডিশন আছে। তবে লাল বলেই সব ধরনের লাল চলে না। সিঁদুরে লাল, মেরুন, ওয়াইন রেড, ব্রিক রেড, টমেটো রেড- শেডের ভিন্নতা অনেক।

এখানেই মূল বিষয়-স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই না হলে শাড়ি সুন্দর লাগলেও সেটি চোখে পড়ে না। তাই লাল শাড়ি কেনার আগে নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই শেডটি নির্বাচন করুন।

শাড়ি পরে দেখে কিনুনআজকাল বেশিরভাগ দোকানে শাড়ি পরে দেখার সুবিধা থাকে। বিয়ের শাড়ি কেনার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। পরে খুঁটিনাটি দেখে কিনুন। শাড়ি পরার সময় রং, ফিট, আরামদায়কতা এবং ডিজাইন সব কিছু মিলছে কিনা। এতে নিশ্চিত হবেন, আপনার বিয়ের দিনের সাজ হবে একেবারে নিখুঁত এবং পরতে গিয়ে অস্বস্তি হবে না।

ফ্যাব্রিকের দিকে নজর দিনবেনারসি, কাঞ্জিভরম, অর্গানজা, শিফন, জর্জেট-এই যে কোনো ধরনের শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে মৌসুম অনুযায়ী নির্বাচন করা জরুরি। শীতকালে একটু ভারি শাড়ি পরলেও সমস্যা নেই। মনে রাখবেন, বিয়ের শাড়ি মানে তা দীর্ঘ সময় পরে থাকতে হবে। তাই শাড়ি বাছার আগে ফ্যাব্রিকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যাতে আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

দেখে ভালো লাগলেই না কেনাশাড়ি বাছার সময় শুধু দেখার ওপর নির্ভর করবেন না। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করুন- এই শাড়ি সামলাতে পারবেন কি না। মন না সায় দিলে, তাহলে কিনবেন না। দীর্ঘসময় পরে আর আরামদায়ক না হলে পরে আফসোস হতে পারে।

হাতের কাজ না হলে সতর্ক হোনঅনেক সময় যন্ত্রে তৈরি শাড়ি দোকানগুলো বিক্রি করে। তাই বিয়ের শাড়ি কেনার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। বেশি দাম দিয়ে কিনলে সিল্ক মার্কযুক্ত শাড়ি কিনুন। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

শাড়ির জরির ধরন পরীক্ষা করুনশাড়িতে যদি জরি থাকে, তবে তার ধরন দেখাও জরুরি। কিছু জরি ত্বকে খোঁচা দেয়, ফলে শাড়ি দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা যায় না। শাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত খুব সস্তা শাড়ির জরি শক্ত হয়, আর একটু দাম দিয়ে কেনা শাড়ির জরি নরম ও আরামদায়ক হয়।

শাড়ির সঙ্গে গয়নাও মানানসই হোকশাড়ি কেনার আগে গয়না নির্বাচনেও নজর দিন। যে শাড়িটি কিনছেন, তার সঙ্গে মানানসই গয়নাগাটি না হলে পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যাবে। তাই কেনাকাটির আগেই পরিকল্পনা করুন।

এছাড়া আপনার শারীরিক গড়ন অনুযায়ী শাড়ি বাছাই করতে হবে। যদি উচ্চ ও ছিপছিপে হন, ভারি কাজের চওড়া পাড়ের শাড়ি পরতে পারেন। আর যদি উচ্চতা কম বা চেহারা একটু ভারি, তবে সরু পাড়ের হালকা নকশার শাড়ি বেশি মানাবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন: কালো স্কাল্পটেড গাউনে লাস্যময়ী সারা অফ-শোল্ডার গাউনে মুগ্ধতা ছড়ালেন মিম 

এসএকেওয়াই/